রামগড়ে নদীতে পড়ে শিশু নিখোঁজ

বন্যা থেকে বাঁচাতে ভাগিনাকে এখানে এনেছিলাম, কে জানতো এখানেই সর্বনাশ হবে

‘নদীতে প্রচণ্ড স্রোত রয়েছে। সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশি করেছে ডুবুরি দল। কোথাও সন্ধান পাওয়া যায়নি।’

বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)

Location :

Ramgarh
বন্যা থেকে বাঁচাতে ভাগিনাকে এখানে এনেছিলাম, কে জানতো এখানেই সর্বনাশ হবে
বন্যা থেকে বাঁচাতে ভাগিনাকে এখানে এনেছিলাম, কে জানতো এখানেই সর্বনাশ হবে |নয়া দিগন্ত

খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর পাড়ে খেলতে গিয়ে নদীতে পড়ে কাজী মিনহাজ(৮) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। তাকে উদ্ধারে স্থানীয়দের পাশাপাশি চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সন্ধ্যা পর্যন্ত সন্ধান চালিয়ে কোনো খোঁজ না পেয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে।

নিখোঁজ শিশুটি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ সতের গ্রামের কাজী মঞ্জুর ইসলামের ছেলে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে সে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর রামগড় ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা নদীর নিম্নভাগের এক কিলোমিটার এলাকায় সন্ধান চালায়। কোনো খোঁজ না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গামাটি ডুবুরি দলকে খবর দিলে তারা বিকেল ৪টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

জানা গেছে, মিনহাজ রামগড়ের ফেনীরকুল নানাবাড়িতে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আসে। ছাগলনাইয়ায় তাদের বাড়িতে বন্যার পানি উঠলে তাকে নানাবাড়ি পাঠানো হয়। শুক্রবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের সময় ফুফাতো বোনের সাথে খেলতে গিয়ে নদীর পাড়ে গেলে কাদার মধ্যে পা পিছলে পড়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ।

নিখোঁজ শিশুর মামা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বন্যা থেকে বাঁচাতে ভাগিনাকে এখানে এনেছিলাম, কে জানতো এখানেই সর্বনাশ হবে। এখন অন্তত দেহটা পেলেও একটু শান্তি পেতাম।’

রামগড় ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা বিশান্তর বড়ুয়া বলেন, ‘নদীতে প্রচণ্ড স্রোত রয়েছে। সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশি করেছে ডুবুরি দল। কোথাও সন্ধান পাওয়া যায়নি।’

রাঙ্গামাটির ডুবুরি দলের টিম লিডার আলী হোসেন চৌধুরী জানান, তারা ছয়জনের একটি দল নিয়ে রামগড়ে এসে সন্ধান চালিয়েছেন। সন্ধ্যা হওয়ায় অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।