জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে ঘিরে গোপালগঞ্জের নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার তাদের লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গোপালগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো: ফারুক বলেন, ‘আদালতের চিঠিটা আজ সকালে পেয়েছি। এতে কালকের তারিখ লেখা আছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের আদেশের কথা লেখা আছে এতে।’
যে তিনজন নিহত ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে তারা হলে রমজান কাজী, সোহেল রানা ও মো: ইমন তালুকদার।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান জানান, হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ময়না তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখানে মামলা রুজু হয়েছে তাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতের কাছে আবেদন করেছে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আদেশ দিয়েছে। গতকালকে এ আদেশ দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।’
আজ সোমবার গোপালগঞ্জের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
গত বুধবার সেখানকার সহিংসতার ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো সাতজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বলছেন, ‘কারফিউ ও ১৪৪ ধারা জারি নেই। পরিস্থিতি শান্ত, স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষজন অফিস-আদালত, বাজারঘাট, স্কুল - কলেজে যাচ্ছে।’
বুধবারের পর মোট ৩১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে সহিংসতা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলাসহ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় বেশ কয়েকজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আরো সাতজনকে আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টতা না থাকায় অনেককেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ৩১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এখন মোট সংখ্যা ২৩০ বা ২৪০ জন হতে পারে।’
সূত্র : বিবিসি