ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন সোনাগাজী জোনাল অফিসে ৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ৬৮ জন গণছুটি নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। সরকারের আল্টিমেটামে তিনজন কর্মকর্তা কর্মস্থলে যোগ দিলেও বাকি ৬৫ জন এখনো কর্মস্থলে ফেরেননি। ফলে গত তিন দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গ্রাহক দুর্ভোগ ভয়াবহে পৌঁছেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আরইবি ও পিডিবিসহ বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাকরি বিধিমালা ও সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য নিয়ে চলমান জাতীয় পর্যায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ গণছুটির ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী উপজেলার তিনটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও চারটি অভিযোগ কেন্দ্রে কর্মরত ৬৮ জন কর্মচারী গণছুটি নিয়ে চলে যান। তিন দিন অতিবাহিত হলেও তারা কর্মস্থলে যোগ না দেয়ায় গ্রাহকদের অভিযোগের কোনো সমাধান করা যাচ্ছে না।
আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুলাখালী ও পশ্চিম সোনাপুর গ্রামের চারটি বাড়ি এবং সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন, বগাদানা, চরমজলিশপুর, চরদরবেশ ও নবাবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুতহীন অবস্থায় প্রচণ্ড গরমে এলাকাবাসী মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ওই চার বাড়িতে থাকা রোগীরা ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছেন।
পশ্চিম সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা শরীফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, কয়েকজন শ্বাসকষ্টের রোগীকে নেবুলাইজার দিয়ে গ্যাস দিতে না পারায় চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
একযোগে ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুপস্থিত থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিও বিপাকে পড়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খুরশিদ আলম ভুঞা বলেন, ‘সরকার দ্রুত বিষয়টি সমাধান করে জনদুর্ভোগ কমানোর অনুরোধ করছি।’
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মো: মোস্তফা বলেন, ‘জনদুর্ভোগ ভয়াবহ হয়ে ওঠার আগে মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় রেখে গঠনমূলক সমাধানের পথে হাঁটা উচিত।’
সোনাগাজী জোনাল অফিসের ডিজিএম বলাই মিত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘যারা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে এখনো অনুপস্থিত রয়েছেন, তাদের ব্যাপারে সরকার ব্যবস্থা নেবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। বিদ্যুতের ছোটখাটো সমস্যাও সমাধান করতে মারাত্মক হিমশিম খাচ্ছি।’