ঢাকার দোহার উপজেলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ধর্ষণের পৃথক তিনটি মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে দোহার থানা পুলিশ। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী ও ২ গৃহবধূ। একইসাথে দোহার থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পুলিশ ও মামলার তথ্য থেকে জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে উপজেলার মুকসেদপুর ইউনিয়নে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন শ্বশুর। এ সময় গৃহবধূকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। পরে ওই গৃহবধূ চিৎকার করলে শ্বশুর দৌড়ে পালিয়ে যান। গৃহবধূ ভয়ে প্রতিবেশীর ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে শাশুড়িকে ঘটনা জানান। শাশুড়ি বাড়িতে ফিরে পুত্রবধূকে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। শনিবার সকালে এ ঘটনায় দোহার থানায় মামলা করলে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
অপরদিকে মাহমুদপুর ইউনিয়নের এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ শুক্রবার দোহার থানায় মামলা করলে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাহ আলম (২৩) ও রাব্বি (২২) নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, গত মার্চ মাসের ১০ তারিখে চার যুবক ওই গৃহবধূকে একা ঘরের মধ্যে মুখ বেধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। গৃহবধূ জানায়, এ ঘটনায় এলাকায় শালিসী মীমাংসার চেষ্টা করে কালক্ষেপন করেছে স্থানীয়রা। পরে ভিকটিম দোহার থানায় মামলা করেন।
এ ছাড়া দোহারের প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া এলাকায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে গত বুধবার সংঘবদ্ধ একদল যুবক ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৬ মে) ওই কিশোরীর বাবা দোহার থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
জানা গেছে, রাতে ওই কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে রাস্তায় নিয়ে অজ্ঞাত ৪ যুবক জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি ফিরে বড় বোনকে ঘটনা জানালে, সে তার স্বজনদের মাধ্যমে বাবাকে অবগত করে। পরে শুক্রবার সকালে দোহার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তবে এই মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হননি। এই মামলার আসামিরা হলেন- মনি (২২), মুশফিকুর অপু (২২), আবির হোসেন (২০) ও অজ্ঞাত আরো ১ জন। এদিকে ঘটনার সিসি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরেকজন গ্যারেজ মালিকের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।
দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, তিনটি ধষর্ণের ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। ২ মামলায় তিন আসামি গ্রেপ্তার আছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে পুলিশ।