বরগুনায় বিদ্যুৎ নেই চার দিন, ভোগান্তিতে ১০ হাজার মানুষ

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বেতাগী (বরগুনা) সংবাদদাতা

Location :

Betagi
বেতাগী পল্লীবিদ্যুৎ উপকেন্দ্র
বেতাগী পল্লীবিদ্যুৎ উপকেন্দ্র |নয়া দিগন্ত

বরগুনায় উপকূলীয় জনপদ বেতাগীতে কালবৈশাখি ঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে চার দিন ধরে ভোগান্তিতে রয়েছে আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহকের সংযোগ চালু করতে পারেনি পটুয়াখালী পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে থাকা বেতাগী পল্লীবিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে।

পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার বেতাগী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের আওতায় ৪০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। গত মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের দাবি, তারা দ্রুততম সময়ে সংযোগ চালু করতে কাজ করছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনো বৈদ্যুতিক তারে গাছ, গাছের ডাল পড়ে আছে। আগামী ২৬ জুন শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যার পর পড়াশোনা করতে পারছে না এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।

এছাড়া মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব আগামীকাল শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সুবিধা পেলেও বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালীকান্দা গ্রাম, বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসন্ডা, দক্ষিণ বেতাগী এলাকা এবং হোসনাবাদ ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি, বাসন্ডা, কাটাখালী এলাকাসহ ১০ হাজার গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি।

বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালীকান্দা গ্রামের আব্দুল জলিল সিকদার বলেন, চার দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানের ফ্রিজে থাকা প্রায় পাঁচ হাজার টাকার আইসক্রিম, মাছ ও গোশত গলে নষ্ট হয়েছে। গত বুধবার (৪ জুন) বিকেলের দিকে সবগুলো বের করে রেখেছি। বিদ্যুৎ না থাকায় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছি।

বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের এইচএসসি পরীক্ষার্থী দ্বীপ্তি হাওলাদার জানায়, সামনে এইচএসসি পরীক্ষা বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে রয়েছি। মোমবাতি দিয়ে আর কতক্ষণ পড়া যায়।

পৌরসভার ঢালীকান্দা গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক রতন শীল বলেন, আমি গরিব মানুষ, দিন এনে দিন খাই। এক দিন রিকশা না চালালে পেটে ভাত যায় না। এর মধ্যে চার দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় চার্জ দিয়ে রিকশা চালাতে পারছি না। পরিবার নিয়ে বিপদে পড়েছি।

বেতাগী সদর ইউনিয়নের গৃহবধূ রেমিজা আক্তার বলেন, ঝড়বৃষ্টি হলেই যেন বিদ্যুতের দম বন্ধ হয়ে যায়। চার দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে থাকা গোশত নষ্ট হচ্ছিল। আমরা বিদ্যুৎ বিহীন অনেক কষ্টে আছি।

এ বিষয়ে বেতাগী পল্লীবিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ইনচার্জ প্রকৌশলী পাবেল বলেন, আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ চালুর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আমাদের টিম দ্রুততম সময়ে কাজ করছে।