ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করার অভিযোগে যুবলীগ কর্মীর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার রিমিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী শ্যামল চন্দ্র রায় ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান।
গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার রিমি নলছিটি উপজেলার যুবলীগ কর্মী মামুন হাওলাদারের স্ত্রী ও পৌরসভার অনুরাগ এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের কাওসার হোসেন ওরফে মিন্টু মৃধার (৬৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নলছিটি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করে সুমাইয়া।
ওই ঘটনায় মিন্টু মৃধাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইতোমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় অভিযোগটি মিথ্যা বলে ট্রাইব্যুনালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় মিথ্যা মামলা করায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়।
এতে আদালত সুমাইয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করলে বুধবার আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করে সুমাইয়া। তবে জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।