সিলেটে ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে মারধর, মাথা ন্যাড়া!

‘এ ঘটনা নিয়ে এই মুহুর্তে মন্তব্য করতে পারছি না। শুনেছি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপর এর প্রকৃত সত্য জানা যাবে।’

এমজেএইচ জামিল, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
সিলেটে ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে মারধর, মাথা ন্যাড়া!
সিলেটে ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে মারধর, মাথা ন্যাড়া! |নয়া দিগন্ত

ছিনতাইয়ের অভিযোগে সিলেট নগরীতে এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে মারধর ও মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা রাতে নগরীর দর্শনদেউরি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত ভুক্তভোগী এমদাদুল ইসলাম মিজান বিমানবন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কেউ কেউ ছিনতাইকারীর বিচার দাবি করেছেন। আবার কেউ কেউ ঘটনাটিকে নিজ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল হিসেবেই মনে করছেন।

এই ঘটনায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের আগে এ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী।

স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় দর্শনদেউরী এলাকায় এক চিহ্নিত চোরকে আটক করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী। ওই ছিনতাইকারীকে ছাড়াতে গিয়ে নিজদলের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এমদাদুল ইসলাম মিজান। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পাশাপাশি মাথার চুল ন্যাড়া করে দেন।

স্বেচছাসেবক দলের আরেকটি সূত্র জানায়, এক বিদেশী মহিলার স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাকে আটক করে উপস্থিত জনতা উত্তম-মধ্যম দিয়েছে। এখানে দলীয় রাজনীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

এদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের অপর সূত্র জানিয়েছে, আভ্যন্তরীণ পূর্ব বিরোধের জের ধরেই নিজ দলের কতিপয় নেতাকর্মীরা বিমানবন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এমদাদুল ইসলাম মিজানকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। তাকে ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে বেধড়ক মারপিটের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

ঘটনার পরপর গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘এ ঘটনা নিয়ে এই মুহুর্তে মন্তব্য করতে পারছি না। শুনেছি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপর এর প্রকৃত সত্য জানা যাবে।’

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমরাও লোক মুখে শুনেছি। কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’