রংপুর মহানগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে সাতমাথা পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশার প্রতিবাদে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতীকী গায়েবানা জানাযার পর এবার ওই সড়কে প্রতীকী ধানের চারা রোপণ ও লালকার্ড প্রদর্শন করলো এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর সাতমাথা রেলওয়ে গেট এলাকায় ব্যানার নিয়ে ব্লক দিয়ে ভাঙা রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। পরে সিটি করপোরেশনের উদ্দেশ্যে রাস্তা মেরামত না করায় লালকার্ড প্রদর্শন করেন।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী মুরছালিন হায়াত প্রান্ত জানান, ‘দীর্ঘ দুই বছর ধরে এই রাস্তাটির বেহাল দশা। এই রাস্তা দেয় যদি কোন গর্ভবর্তী মা চিকিৎসা নিতে রংপুর মেডিক্যালে যান। তাহলে রাস্তায় মধ্যেই তার ডেলিভারি হয়ে যাবে। অসুস্থ রোগী এই রাস্তা দিয়ে গেলে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে তিনটি বাচ্চা এখানে গর্তে পরে অসুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু রাস্তাটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। সেকারণে আমরা ধানের চারা রোপণ করলাম। দেখি কর্তৃপক্ষ কি করে।‘
প্রতীকী গায়েবানা জানাযার আয়োজকদের একজন মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম-সদস্য সচিব (দফতর ও প্রচার) রাজিবুজ্জামান হৃদয় জানান, ‘গত ৫ দিন আগে আমরা সিটি করপোরেশনের প্রতীকী একটা গায়েবানা জানাযা পড়েছিলাম। ওই জানাযার পরেও আমরা রাস্তিাটি মেরামতে দৃশ্যমান কিছু দেখতে পারি নি। সাময়িকভাবে রাবিশ বা ইট দিয়ে বড় বড় গর্তগুলো মেরামত করে চলাচল উপযোগী করতে পারতো। কিন্তু সেটা তারা করে নি। আমরা মনে করি তারা হয়তো এখনো মৃত অবস্থাতেই আছেন। আমাদের শোক র্যালি করা উচিৎ ছিল। কিন্তু সেটা না করে আজ আমরা প্রতীকীভাবে ধানের চারা রোপন করলাম। লালকার্ড দেখালাম। এতেও কাজ না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবো আমরা।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম জানান, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরপরই রাস্তাটি সংস্কার নয়। পুন:নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছি। আশাকরি, স্থায়ীভাবে পুন:নির্মাণের জন্য ১৮ কোটি টাকার বরাদ্দ চলতি মাসের শেষেই আসবে। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে। সাময়িক কাজ করে যেহেতু ভোগান্তি আরো বাড়ে, অর্থের অপচয় হয়। সেকারণে আমরা পুর্ন:নির্মাণই করতে চাই। আশাকরি আগামী মাসেই টেন্ডারে যেতে পারবো আমরা। কোভিডনাইনটিন রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটি পুন: নির্মাণ হবে।