রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় সদ্য নির্মিত একটি সড়ক হালকা বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে। মাত্র এক মাস আগে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া এ সড়কের এরকম ভয়াবহ ক্ষতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দাবি করছেন, এটি উপজেলা প্রকৌশল দফতরের দুর্নীতি ও গাফিলতির সরাসরি ফল।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, লংগদু উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতরের অধীনে মাইনী মুখ ইউনিয়নের উত্তর সোনাই এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের যাতায়াতের জন্য প্রায় ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার ও রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। চলতি বছরে কাজ শুরু হয়ে মে মাসে কাজ শেষ হয়। কিন্তু মে মাসের শেষের দিকের সামান্য বৃষ্টিতেই ধসে পড়ে সড়কের একাংশ। মাটি সরে গিয়ে সড়কের পাশের রিটেইনিং ওয়াল সম্পূর্ণসহ রাস্তা ভেঙে পড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছিল। স্থানীয়দের কেউ কেউ বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নজরে আনলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘এই কাজটিতে একেবারেই মনোযোগ ছিল না। সিমেন্ট ও ইটের মান খারাপ ছিল, আর ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ঠিকমতো হয়নি। বৃষ্টিতে ধসে যাওয়া প্রমাণ করে কতটা গাফিলতি ছিল।’
অপর এক প্রবীণ বলেন, ‘৯৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, অথচ এক মাসও টিকল না! এটা তো জনগণের টাকার অপচয়।’
এ বিষয়ে লংগদু উপজেলা প্রকৌশলী দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘কাজটির জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কিছু পে-অর্ডার আমাদের কাছে রয়েছে সেগুলো দিয়ে আমরা ভেঙে যাওয়া অংশে কাজ করা অলরেডি শুরু করে দিয়েছি।’
উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারকে ফাইনাল বিল দিয়েছি। কিন্তু তার ১০ পার্সেন্ট জামানতের টাকা আমাদের কাছে রয়েছে। তা দিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’
স্থানীয়দের দাবি, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের গাফিলতি ও দুর্নীতি না ঘটে, সেজন্য নির্মাণকাজ চলাকালীনই জনসচেতনতা ও তদারকি বাড়ানো উচিত।