সামনে যারাই স্বৈরাচারী আচরণ করবে তাদেরও হাসিনার মতো পরিণতি হবে : বিএফইউজের সভাপতি

সাংবাদিকরাও আন্দোলনের বাইরে থাকতে পারেনি। সাংবাদিক সংগঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান রইল।

সাদাকাত আলী খান, দিনাজপুর

Location :

Dinajpur
বক্তব্য রাখেন ওবায়দুর রহমান শাহিন
বক্তব্য রাখেন ওবায়দুর রহমান শাহিন |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন’র (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন বলেছেন, ‘গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ফাঁসির কাস্টে ঝুলেছে, জেল-জুলুম ও গুমের শিকার হয়েছে। একইসাথে সাংবাদিকরাও আন্দোলনের বাইরে থাকতে পারেনি। সাংবাদিক সংগঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান রইল। আগামীতে ক্ষমতায় গিয়ে যারাই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী আচরণ করবে তাদের পরিণতিও শেখ হাসিনার মতোই হবে।’

শনিবার (৯ আগস্ট) দিনাজপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাংবাদিকের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দিনাজপুরের শহীদ পরিবারের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাদাকাত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহকারী মহাসচিব ড. সাদেকুল ইসলাম স্বপন, দফতর সম্পাদক আবু বকর।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, সহ-সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স’র সহ-সভাপতি মো: শামীম কবির, দিনাজপুর শহর জামায়াতের আমির মো: সিরাজুস সালেহীন, জাতীয় নাগরিক পার্টি’র শ্রমিক উইং’র কেন্দ্রীয় সদস্য মো: রেজাউল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবির দিনাজপুর শহর শাখার সভাপতি মুশফিকুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক একরামুল হক আবির ও শহীদ রবিউল ইসলাম রাহুলের বাবা মুসলেম উদ্দিন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লব চূড়ান্ত বিপ্লব নয়, আরো বিপ্লব হবে। সাংবাদিকদের ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতীয় আধিপত্যবাদি শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। আমরা যদি দিনাজপুরে দৃশ্যমান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারি তাহলে দিনাজপুর অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমরা একটা স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ।

তার বলেন, গত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কথা আমরা ভুলে গেছি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে। আপনারা বিভাজন সৃষ্টিকারীদের কোনো অবস্থায় আশ্রয় দিবেন না। জুলাই বিপ্লবের মূল চেতনা ধরে রাখতে হবে। সাংবাদিকসহ সকলের মধ্যে বিভাজন মিটিয়ে ফেলতে হবে।

তারা আরো বলেন, অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে মানসিক নির্যাতন করেছে। এভাবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার সরকার তাদের পতনের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল। সাংবাদিকদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রইলো। যে সন্তানরা ও যে ছাত্ররা মোবাইলে আসক্ত ছিল সেই সন্তানরাই আমাদের মুক্ত করেছে। আজকে আমাদের স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে জুলাই বিপ্লবকে সফল করেছে।