নাটোরের বড়াইগ্রামে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে (স্ট্রোক) বাবার মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনায় শোকের ছাড়া নেমে এসেছে পরিবারসহ এলাকায়।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভবানীপুর সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ার গীর্জায় একইসাথে দু’জনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে স্থানীয় খ্রিষ্টান কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয় বাবা-ছেলেকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বিকাশ কস্তার (৪৩)। ছেলের মৃত্যুর খবরে শোক সইতে না পেরে স্ট্রোক করে ওইদিন রাত ১১টায় মারা যান বাবা মন্টু কস্তা (৭৬)।
নিহত দু’জনই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জোয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর জানান, বিকাশ কস্তা ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ইস্টার সানডে উপলক্ষে ছুটিতে বাড়িতে আসেন তিনি। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বনপাড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন বিকাশ। পথে হারোয়া ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রের সামনে এলে একটি অটোরিকশার সাথে তার সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্বজনরা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান তিনি।
এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে স্ট্রোক করেন বাবা। পরে স্থানীয়রা তাকে ক্লিনিকে নিয়ে গেলে রাত ১১টার দিকে তিনিও মারা যান।
ভবানীপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক সেন্টু কস্তা বলেন, ‘তারা দু’জন আমার ভাই ও ভাতিজা। যেকোনো মৃত্যুই শোকের। কিন্তু একই দিনে দু’জনকে হারানোর শোক সহ্য করা কঠিন। আমরা সবাই শোকার্ত হয়ে পড়েছি।’