বুটেক্সে ইফতার ঘিরে শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বুধবার (১৯ মার্চ) শিক্ষক ও ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য বুটেক্স ক্যান্টিনে, মহিলা শিক্ষক ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের কমনরুমে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ইফতার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শেফাক মাহমুদ, বুটেক্স
ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) কেন্দ্রীয়ভাবে ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। ইফতার মাহফিলে শিক্ষার্থীরা পরস্পরের সাথে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হন।

বুধবার (১৯ মার্চ) শিক্ষক ও ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য বুটেক্স ক্যান্টিনে, মহিলা শিক্ষক ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের কমনরুমে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ইফতার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ইফতার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের ইফতার মাহফিলটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারায় আমি মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। যেকোনো প্রোগ্রাম করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, আমি আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে আমাদের শিক্ষার্থীরা তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে। আমি কমিটির সকল সদস্য ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, আমরা শুরুতে ৮০০ জনের ইফতার আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছি। পরে ভালো সাড়া পাওয়ায় এক হাজার জনের আয়োজন করি। আমরা সুষ্ঠুভাবে খাবার বিতরণ করতে টোকেনের ব্যবস্থা করি। ৭০ জন অংশগ্রহণকারী বেশি হওয়ায় পরে আবার তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয় এবং আমরা আমাদের প্রত্যাশানুযায়ী আয়োজন করেছি।

অন্যদিকে আয়োজন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ৫০তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুরো রাস্তা জ্যাম থাকায় সেই ওয়ারলেস থেকে হেঁটে হেঁটে ভার্সিটিতে এসে টোকেন নিয়েছি। সবাইকে একসাথে বসানোর পর যার যার টোকেন দেখে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে খাবার বিতরণ করলে ভালো হতো। রোজা রেখে তো এভাবে দৌড়াদৌড়ি করা যায় না।

অন্যদিকে আযান দেয়ার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে এসে বলে খাবার শেষ। আবার লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় একপর্যায়ে বলা হয় ৫০তম ব্যাচ তোমরা অপেক্ষা করো, আগে বড় ভাইরা খাবার নেবে। আমরা ৫০তম ব্যাচ বলে কী লাইনে আগে দাঁড়িয়েও খাবার পরে পাবো? শেষে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে বাইরে ইফতারি করে রোজা ভেঙ্গেছি। ভার্সিটিতে গিয়েও আমাকে বাইরে ইফতার করতে হয়েছে।