গ্রীষ্মে ধুলা বর্ষায় কাদা, শেখরকান্দি-পাইককান্দি সড়কে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

স্থানীয় বাসিন্দা রাহেলা বেগম জানান, ৮০ বছর আগে এই গ্রামে বউ হয়ে এসেছি, এখনো কাদার মধ্যেই চলি। রাস্তাটা আর পাকা দেখতে পারলাম না।

কাজী আফতাব হোসেন, নগরকান্দা (ফরিদপুর)

Location :

Nagarkanda
গ্রীষ্মে ধুলা বর্ষায় কাদা, শেখরকান্দি-পাইককান্দি সড়কে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি
গ্রীষ্মে ধুলা বর্ষায় কাদা, শেখরকান্দি-পাইককান্দি সড়কে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি |ছবি : নয়া দিগন্ত

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার শেখরকান্দি, পাইককান্দি, দেলবাড়িয়া ও বড় পাইককান্দি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে একটি পাকা রাস্তার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্ষা এলেই শহীদ নগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইককান্দি হালিম মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কের দেড় কিলোমিটার অংশ হাঁটুপানি কাদায় ডুবে যায়। এতে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, হাসপাতাল ও বাজারে যাতায়াত এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়।

শেখরকান্দিসহ এসব গ্রামের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন নগরকান্দা সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। বর্ষায় জুতা হাতে নিয়ে কাদা পার হতে হয় তাদের। গ্রীষ্মকালে ধুলায় ঢেকে যায় রাস্তা, বর্ষায় পরিণত হয় কর্দমাক্ত পথে। যান চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হাঁটাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা রাহেলা বেগম জানান, ৮০ বছর আগে এই গ্রামে বউ হয়ে এসেছি, এখনো কাদার মধ্যেই চলি। রাস্তাটা আর পাকা দেখতে পারলাম না।

অটোচালক রুবেল মিয়া বলেন, রাস্তা খারাপ থাকায় গাড়ি ভাঙ্গায় গ্যারেজে রাখতে হয়—প্রতিদিন বাড়তি আয় ব্যয়ে যায় আড়াই শ’ টাকা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, বহুবার সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বছরখানেক আগে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন নিলু রাস্তাটি পরিদর্শন করে প্রতিশ্রুতি দিলেও, মৃত্যুর পর তা থেমে যায়।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল খালেক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, এখন তার মাধ্যমে জানলাম, ব্যবস্থা নেয়া হবে।