সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নৃত্যশিল্পীকে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে এজাহারভুক্ত আসামি কফিল উদ্দিন ও এনামুল হককে গ্রেফতার করেছে তাড়াশ থানা পুলিশ।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার (১৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সময় বগুড়ার শাহজাহানপুর থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ মামলার অপর আসামি রফিকুল ইসলামকে ঘটনার পরদিনই পুলিশ আটক করে জেলহাজতে পাঠায়।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের কথা বলে গত ১৫ মে বগুড়ার শেরপুর এলাকা থেকে ভুক্তভোগী শিল্পীকে(২০) তাড়াশে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পরে রানীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকায় তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন মো: কফিল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, এনামুল হক এনাসহ আরো দুইজন।
এ ঘটনায় ওই শিল্পী(২০) গত ১৬ মে তাড়াশ উপজেলার চককলামুলা গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলামের ছেলে কফিল উদ্দিন(২৫), বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রানীর হাট বেওড়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মরহুম গোলাম হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম(৪৪) ও একই গ্রামের হেদু প্রামাণিকের ছেলে এনামুল হক এনা (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুজনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় দেশের শীর্ষ স্থানীয় মিডিয়াগুলো আলোড়ন তোলে। মামলার পরপরই আসামি মো: রফিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের ধরতে পুলিশ তৎপরতা চালায়। আজ উল্লেখিত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জিয়াউর রহমান বলেন, গ্রেফতারদেরকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটক করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তসহ বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।