বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় গত এক মাসে প্রায় ১ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ মাদক ও ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব ঘটনায় ৬টি মামলায় ৯ জন ডাকাত ও ৭ জন মাদক কারবারিসহ মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফকিরহাট মডেল থানার জুলাই মাসের রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গোয়েন্দা তৎপরতা ও প্রযুক্তির সহায়তায় জুলাই মাসে ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশ এবং বাগেরহাট ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৬টি অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানগুলোতে মোট ২১ হাজার ৭২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা। এছাড়াও, উপজেলার কাটাখালী এলাকায় অবস্থিত হ্যামকো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকানাধীন ‘এনজিন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজথ থেকে ডাকাতি হওয়া সাড়ে ১৩ টন ইন্ডাস্ট্রিয়াল যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদি চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ৮০ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
এই অভিযানে ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীরের নেতৃত্বে এএসআই মো: মেহেদী হাসান মিশন, এসআই আব্দুল আলিম শেখ, এসআই শিবলি নোমানীসহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। অভিযানে বাগেরহাট জেলা ডিবি পুলিশও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়।
ফকিরহাট উপজেলা ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল, বরিশাল-খুলনা এবং ঢাকা-মোংলা বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের সংযোগস্থল হওয়ায়, সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা থাকায় মাদক চোরাকারবারি ও অপরাধচক্র বারবার এ অঞ্চলকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
পুলিশ জানায়, এসব অপরাধী চক্র নানা কৌশল পরিবর্তন করে মাদক পাচার ও ডাকাতি চালিয়ে যায়। তবে পুলিশ এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চলেছে এবং জুলাই মাসে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, ‘বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ স্যারের নির্দেশনায় মাদক ও অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্সথ নীতি অনুসরণ করে ফকিরহাট মডেল থানা কাজ করছে। গত জুলাই মাসে ৬টি মামলায় ১৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ‘এই মামলাগুলোতে ২১ হাজার ৭২৫ পিস ইয়াবা, ২০ কেজি গাঁজা এবং সাড়ে ১৩ টন ইন্ডাস্ট্রিয়াল যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফকিরহাট থানা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’