হাসিনার ফাঁসির রায়ে সিলেটে আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

সোমবার দুপুরে রায় ঘোষণার পরপরই নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ছাত্র-জনতার পৃথক পৃথক আনন্দ মিছিল বের করা হয়।

এমজেএইচ জামিল, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
হাসিনার ফাঁসির রায়ে আনন্দ মিছিল
হাসিনার ফাঁসির রায়ে আনন্দ মিছিল |নয়া দিগন্ত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী মামলার রায়ে পতিত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলেটের রাজপথে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন সাধারণ জনতা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রায় ঘোষণার পরপরই নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ছাত্র-জনতার পৃথক পৃথক আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এ সময় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছাত্র-জনতার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

এদিকে শেখ হাসিনার মামলার রায়ে ঘিরে সিলেটে যেকোনো ধরনের নাশকতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল। সোমবার সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত সিলেটের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া পাড়া-মহল্লাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশের বিভিন্ন টিম ছদ্মবেশে নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও পয়েন্টে অবস্থান নেয়। একইসাথে সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ যানবাহনে চলে তল্লাশি।

এদিকে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের পার্কিংয়ে রাখা সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সচালক আব্দুল কাদির লিটন গত ১৬ নভেম্বর বিস্ফোরক আইনে অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।

এছাড়া রোববার দিবাগত রাতে দেড়টার দিকে নগরীর পাঠানটুলা নবাবী জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকার একটি গাড়ির গ্যারেজে রহস্যজনক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে অন্তত ১২টি গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এদিকে সোমবার সিলেট নগরীতে অফিসগামী ও সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সড়কজুড়ে ছিল যানবাহনের ভিড়। চালু ছিল সব ধরনের গণপরিবহন ও ট্রেন।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম জানান, ‘সিলেটের অভ্যন্তরীণ রুটে অন্য দিনের মতো যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। একইসাথে যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সিলেট থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যথাসময়ে আসা-যাওয়া করেছে।’

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম জানান, ‘সিলেটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। যাত্রীদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্টেশন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ছিল।’

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ‘সিলেটে যেকোনো ধরনের নাশকতার ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে ছিল। মাঠে সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি, পুলিশ-র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বদা তৎপর ছিল। যার ফলে সিলেটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল।’