কৃষি শিক্ষা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা কৃষি খাতের বিভিন্ন অনিয়ম ও বৈষম্য দূরীকরণের তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের ‘পায়রা সেতুর’ টোলপ্লাজা অবরোধ করে কর্মসূচি করা হয়।
এতে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচিতে সেতুর দু’প্রান্তে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ভোগান্তিতে পড়েছে দূরপাল্লার অসংখ্য যাত্রীরা।
বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন পবিপ্রবির কৃষি অনুষদের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী গাজী রিজওয়ান, জাকির হোসেন, শাজনীন রিংকু ও সুমাইয়া সূচনা প্রমুখ।
এ সময় তারা বলেন, ডিএই, বিএডিসিসহ সকল গবেষণা ও কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ১০ম গ্রেডের পদগুলো উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপ-সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও সমমানের পদ কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়ে নবম গ্রেডে (বিএডিসি) কোটার মাধ্যমে পদোন্নতির সুযোগ বাতিল করতে হবে। কেবলমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই পদোন্নতির ব্যবস্থা রাখতে হবে। কৃষি বা কৃষি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি ব্যতীত কেউ নামের সাথে ‘কৃষিবিদ’ পদবী ব্যবহার করতে পারবে না। এ বিষয়ে সরকারকে দ্রুততম সময়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে এ দিন মহাসড়কে যান চলাচল ও দূরপাল্লার যাত্রীদের ভোগান্তি এবং জনর্দুভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকে বিরত রেখেছে। তারা জানান, আগামী মঙ্গলবার ঢাকায় লংমার্চ ঘোষণা করা হয়েছে। লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তারা।
এদিকে পায়রা সেতুর টোলপ্লাজায় হওয়া প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচির কারণে টোলপ্লাজার দু’প্রান্তে অসংখ্য যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন আটকা পরে চলাচল বন্ধ ছিল। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে দুমকি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেয়।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: জাকির হোসেন বলেন, ‘আজ রোববার দুপুরে পায়রা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ করে পবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশ নেয়। এতে আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে সেতুর দু’প্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। এরপর শিক্ষার্থীরা টোল প্লাজায় করা অবস্থান থেকে সরে যান। এরপর যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।