শৈলকুপায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা গ্রেফতার ৩

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের উত্তর কচুয়া গ্রামের শাহানা নামের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা

Location :

Shailkupa
শৈলকুপায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা গ্রেফতার ৩
শৈলকুপায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা গ্রেফতার ৩ |নয়া দিগন্ত

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের উত্তর কচুয়া গ্রামের শাহানা নামের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা জোসনা খাতুন বাদি হয়ে আজ শৈলকুপা থানায় চারজনের নামে মামলা করেছেন।

মামলা রুজু হওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে ৩ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলো- উত্তর কচুয়া গ্রামের রইচ বিশ্বাস, কামাল বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ বিশ্বাস ও রশিদ মন্ডলের ছেলে হাবিবুর রহমান।

এছাড়াও খন্দকবাড়িয়া গ্রামের মরহুম কালু হাজীর ছেলে আসামি এনামুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শুক্রবার খন্দকবাড়িয়া সংলগ্ন উত্তর কচুয়া গ্রামের মরহুম কানু হাজীর ছেলে এনামুলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করে উত্তর কচুয়া গ্রামের মরহুম ঝড়ো লস্কারের কিশোরী মেয়ে (১৬)।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, এনামুল এর সাথে ছয় মাস ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে এনামুল তাকে ফোন করে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। সে বাড়ির বাইরে আসলে প্রথমে এনামুল তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে করে।

এসময় উত্তর কচুয়া গ্রামের রইচ বিশ্বাস ওই মুহুর্তের ভিডিও ধারণ করে এবং কামাল বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ বিশ্বাস ও রশিদ মন্ডলের ছেলে হাবিবুর রহমানকে ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে আসে। পরে রইচ এর সহযোগিতায় ও পাহারায় তারাও কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। গণধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলতে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

এলাকাবাসী জানায়, ১৮ নভেম্বর এনামুলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করে ওই কিশোরী। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে শালিশ মিমাংসা করার চেষ্টা করে উত্তর কচুয়া গ্রামের শরিফুল মেম্বার ও খন্দকবাড়ীয়া গ্রামের বেশ কয়েকজন সামাজিক মাতব্বর। সামাজিক মাতব্বররা মেয়েটিকে কৌশলে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে আসে। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। এবং ঘটনার সত্যতা পাইবলে জানা গেছে।

শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, ‘ধর্ষণের ঘটনায় সংবাদ প্রচারের পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে গণধর্ষণের তথ্য পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী পরিবারকে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিলে কিশোরীর মা থানায় মামলা দায়ের করেছেন ।

ইতিমধ্যে পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এনামুলকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।