ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর সাঁড়াঘাট (হটাৎ পাড়ায়) এলাকায় পদ্মা নদীর বালু মহাল ও ঘাটের ইজারা নিয়ে দুটি গ্রুপের চলমান দ্বন্দ্বের জেরে আবারো গোলাগুলি হয়েছে। এতে দুইজন সাধারণ মানুষ গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে পদ্মা নদীর পাকশী হটাৎ পাড়ার স্লুইসগেট এলাকায় খাজনা আদায়কে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নিজাম (৩০) ও সজিব (২৫) নামে দু’জন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গুলিবিদ্ধ নিজাম উদ্দিন সাঁড়াঘাট এলাকার হোসেন আলীর ছেলে এবং সজিব একই এলাকার বাবলু হোসেনের ছেলে। আহত দু’জনকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর তরী মহলের ইজারা নিয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসান। অপরদিকে নদীতে চ্যানেল (নদীর মাঝে চলাচল নৌকা থেকে) ইজারা পান কুষ্টিয়া ভেড়ামারার খন্দকার সোহেল নামে এক ব্যক্তি। সেই খাজনা আদায়ের সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই এ গোলাগুলি হয়।
পদ্মা নদীর তরী (সাঁড়া-আরামবাড়ি) মহলের ইজারাদার ঈশ্বরদীর এ টি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘সোমবার হঠাৎ করেই খন্দকার সোহেল স্পিডবোটে করে তার লোকজন নিয়ে এসে নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে স্থানীয় নিজামের বুক ও সজিবের চোখে গুলি লাগে। এছাড়া সোহেল আমার একটি স্পিডবোট ও নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।’
তিনি আরো জানান, ‘অনেকদিন ধরে লালপুরের ইঞ্জিনিয়ার কাকন বাহিনীর সাথে আমাদের বিরোধ চলছে। আজকের ঘটনায়ও কাকন বাহিনীর লোকজন থাকতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করছি।’
মেহেদী হাসান বলেন, গুলিবিদ্ধের ঘটনায় থানায় দ্রুত লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে।
অভিযুক্ত খন্দকার সোহেলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আব্দুন নূর বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়, তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর ইজারা ও চাঁদা আদায় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর আগেও এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে আসছে।