শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল

নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই আমাদের কৃষিশিল্প দুর্বল হয়ে পড়েছে

‘আজ দেশের সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাট শিল্পের ধ্বংস শুধুমাত্র ভারতীয় আগ্রাসী মনোভাবের কারণেই হয়েছে। আমাদের নদীগুলো কেন মরে গেলো, এর পিছনেও কি ভারতের আগ্রাসী মনোভাবই দায়ী নয়?

মুগনিউর রহমান মনি, শেরপুর

Location :

Sherpur
শেরপুরে কৃষক সমাবেশ
শেরপুরে কৃষক সমাবেশ |নয়া দিগন্ত

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও শেরপুর-১ (সদর) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মো: রাশেদুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিগত সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে আমাদের কৃষিশিল্প আজ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সততার অভাব ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের কৃষিতে আমদানি নির্ভরতা বেড়েছে। অথচ বাংলাদেশে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বিপণনে সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে আমদানি নির্ভরতা অনেকাংশে কমে যাবে। এতে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পেতে আর কোনো অন্তরায় থাকবে না।’

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কৃষিজীবী শ্রমিক ইউনিয়ন শেরপুর সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে জমসেদ আলী মেমোরিয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হাফেজ রাশেদুল বলেন, ‘আজ দেশের সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাট শিল্পের ধ্বংস শুধুমাত্র ভারতীয় আগ্রাসী মনোভাবের কারণেই হয়েছে। আমাদের নদীগুলো কেন মরে গেলো, এর পিছনেও কি ভারতের আগ্রাসী মনোভাবই দায়ী নয়? আমাদের কৃষি ও কৃষককে বাঁচিয়ে রাখতে পরিকল্পিত নদী খনন, শাসন ও টেকসই বাঁধ সংস্কারের মাধ্যমে পানির রিজার্ভার বাড়াতে হবে এবং সেই পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার স্বপ্ন, আমি নির্বাচিত হই বা না হই, কৃষকের পাশে থাকতে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে শেরপুর সদরে কৃষি ক্লিনিক, পর্যাপ্ত হিমাগার ও কৃষি হাব স্থাপনে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা: আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতের জেলা আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ডা: মো: আনোয়ার হোসাইন, জামায়াত নেতা মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী, মাওলানা নুরুল আমীন, মাওলানা আব্দুস সোবহান, প্রভাষক জাহিদ আনোয়ার, শহিদুর রহমান, মো: নজরুল ইসলাম, মো: রেজাউল করিম, মো: রফিকুল ইসলাম, মো: রেদওয়ান ইসলাম, মো: সাইফুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, ইদ্রিস আলী, মো: শাহজাহান সরকার, মো: আব্দুল মালেক, মো: মোশারফ হোসেন, মো: দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।