কুষ্টিয়া সদর আসনে সাবেক সংসদ ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় শহরের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার সমর্থকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে শহরের ব্যস্ততম মজমপুর গেট এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। পরে নেতাকর্মীরা কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়কের উপর জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা পরে শহরের এন এস রোডে মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি পুনরায় মজমপুর গেটে এসে শেষ হয়।
গত কয়েকদিন ধরে অধ্যক্ষ সোহরাবউদ্দিনের নাম সকলের মুখে চাউর ছিল। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মোবাইলে মনোনয়নের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন বলে জানা যায়। এর থেকে অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে নিজেদের অবস্থানের জানান দিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় তার নাম না আসায় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রাজপথে নেমে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিগত ১৬টি বছর হামলা, মামলা ও নির্যাতনের মধ্য দিয়েও দলকে সুসংগঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। দীর্ঘ এই দুঃসময়ে তিনি নেতাকর্মীদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করেন। একাধিকবার কারাবরণও করেন। তারপরেও ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে নতি স্বীকার করেননি তিনি। অধ্যক্ষ সোহরাবউদ্দিনের সমর্থকেরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছিলেন অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনকে যথার্থ মূল্যায়ন করে তাকে সদর আসনের মনোনয়ন দেবেন। কিন্তু সোমবার বিএনপি মহাসচিবের ঘোষণা করা তালিকায় তার নাম না থাকায় নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। নেমে আসেন রাজপথে। এসময় অনেক নেতাকর্মীকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
কুষ্টিয়া সদর আসনটিতে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব, উপজেলার সাবেক নির্বাচিত চেয়ারম্যান শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারকে।



