খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় আরেকজন গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে তাকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌধুরী ঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

রফিকুল ইসলাম রকি, খাগড়াছড়ি

Location :

Khagrachhari
গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত
গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত |নয়া দিগন্ত

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় পূজা দেখতে যাওয়া এক ত্রিপুরা কিশোরীকে স্ব-জাতি ত্রিপুরা যুবকদের দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এপর্যন্ত মোট তিন ত্রিপুরা যুবককে আটক করা হয়েছে এবং পলাতক রয়েছে আরো এক ত্রিপুরা যুবক।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে তাকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌধুরী ঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

গ্রেফতার রিমন ত্রিপুরা (২২) উপজেলার গোমতি ইউনিয়নের হেয়াসা ত্রিপুরার ছেলে।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় রনি বিকাশ ত্রিপুরা (৩২) ও ডেটল বাবু ত্রিপুরা (১৭) নামে আরো দুজনকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ায় খালাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসা ভুক্তভোগী কিশোরী সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে স্বজনদের সাথে বেলছড়ি ইউনিয়নের অযোধ্যা কালী মন্দিরে পূজা দেখতে যায়। সেখানে একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে একা পেয়ে প্রলোভনে ফেলে মন্দির এলাকা থেকে কিছু দূরে নিয়ে গিয়ে রনি বিকাশ ত্রিপুরা ও সুমন বিকাশ ত্রিপুরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সাথে থাকা অপর দু’জনও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধর্ষণের পর কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে ধলীয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, স্থানীয়ভাবে হেডম্যান-কার্বারির মাধ্যমে সালিশ ডাকলে রনি বিকাশ ত্রিপুরা ও ডেটল বাবু ত্রিপুরা সেখানে উপস্থিত হয়। এসময় উপস্থিত লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে খবর দিলে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।

মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে ওই কিশোরীর বড় বোন একটি মামলা দায়ের করেছেন। রিমন ত্রিপুরাসহ মোট তিনজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আরেক যুবককে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’