ফরিদপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। সব ষড়যন্ত্র খড়কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছে, ভেসে যাবে। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। আমরা আপনাদের সকলকে নিয়ে বিজয়ী হবো। দল-মতের ভিন্নতার কারণে কাউকে নিগৃহীত করা হবে না।’
বুধবার (৫ নভেম্বর) ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় তিনি একথা বলেন।
এদিন দুপুরে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে তিনি ভাঙ্গায় পৌছেন। এ উপলক্ষে শত শত মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহনে করে নেতাকর্মীরা তাকে শুভেচ্ছা জানাতে সমবেত হন। এরপর ভাঙ্গা ঈদগাহ মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘ধানের শীষ আমাদের সকলের প্রতীক। সকল নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাতে চাই- আমাদের ১৭ বছরের যেই আত্মত্যাগ, আমাদের অসংখ্য শহীদদের যেই আত্মত্যাগ, এর বিনিময়ে আমরা যেই নির্বাচন পেয়েছি, এই নির্বাচনের সুযোগকে আমরা যেনো হেলায় না হারাই। আমাদের মধ্যে আর কোনো ভেদাভেদ নাই, আর কোনো বিভাজন নাই।’
তিনি বলেন, ‘কোনো দল করার কারণে, মতাদর্শের কারণে কাউকে নিগৃহীত করা হবে না। ধর্মের কারণে কাউকে নিগৃহীত করা হবে না। যারা আগে ভিন্ন জায়গায় ছিলেন তারাও আমাদের সাথে একসাথে কাজ করবেন।
কোনো হিংসার রাজনীতি করবো না, কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করবো না। রাজনীতি হবে ভ্রাতৃত্বের, সম্প্রীতির, সহাবস্থানের। ইনশাআল্লাহ নির্বাচন হবে, আমরা সকলকে নিয়ে বিজয়ী হবো। আমি একা বিজয়ী হতে চাই না। এ বিজয় হবে এ আসনের হাজার হাজার মানুষের।’
‘দলের নামে কাউকে কোনো অপরাধ-অপকর্মের সুযোগ দেওয়া হবে না’ উল্লেখ করে বাবুল বলেন, ‘দলের নামে কেউ কোনো অন্যায় অপকর্ম করবেন না। বক্তব্য পরিষ্কার- আমি কোনো সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজীর রাজনীতি করি নাই, করতে দেবোও না।’
পরে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দলের এই মনোনয়নকে একটি আমানত মনে করে এই আমানত রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার চেষ্টা করবো। দলের মধ্যে বিভাজন ছিলো। এই বিভাজন ইতোমধ্যে পঁচানব্বই ভাগ কমিয়ে আনতে পেরেছি। ইনশাআল্লাহ এটিকে শূন্যতে এনে সকলকে একসাথে নিয়ে কাজ করবো।’
‘নির্বাচিত হতে পারলে শিল্পায়ন ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেয়া হবে’ বলেও তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, ভাঙ্গায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন আমার স্বপ্ন। আমরা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মউন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ভাঙ্গায় একটি রাস্তা হয়েছে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে কিন্তু এখানে আভ্যন্তরীণ কোনো উন্নয়ন হয় নাই।’
এসময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন, ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হোসেন সেলিম, জেলা কৃষকদলের সাধারণ মুরাদ হোসেন, মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরীজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহরিয়ার শিথিল, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএম ইউসুফ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান কায়েস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি নেতাকর্মী সমবেত বহর নিয়ে সদরপুর ও চরভদ্রাসনে পৃথক সমাবেশে যোগ দেন।



