চুয়াডাঙ্গায় বালক বিদ্যালয়ের ভর্তি তালিকায় বালিকার নাম!

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি লটারিতে মিস জুলেখা খাতুন নামে এক বালিকার নাম প্রকাশিত হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে।

হুসাইন মালিক, চুয়াডাঙ্গা

Location :

Chuadanga
চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় |নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি লটারিতে মিস জুলেখা খাতুন নামে এক বালিকার নাম প্রকাশিত হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়টি শুধুমাত্র বালকদের জন্য হওয়ায় তালিকায় একটি মেয়ের নাম ওঠা অভিভাবকদের বিস্মিত করেছে। অনেকেই মনে করছেন এটি ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় তালিকা প্রস্তুতের সময় নামসাদৃশ্য বা ডেটা এন্ট্রি জনিত ভুল হতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টার পর অনলাইনে ও বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত তালিকার তৃতীয় শ্রেণি (দিবা শিফট) ভর্তি ফলাফলের ৭১ নম্বর সিরিয়ালেই দেখা যায় ‘মিস জুলেখা খাতুন’ নামটি। এই নামটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অভিভাবকদের মধ্যে লটারি পদ্ধতির নির্ভুলতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে।

কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ডিজিটাল লটারিতে নামসাদৃশ্য বা ভুল তথ্য এন্ট্রি হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তারা জানান, চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি বিদ্যালয়ে আগেও এ ধরনের ত্রুটি দেখা গেছে, যা অভিভাবকদের আরো উদ্বিগ্ন করছে।

লটারিতে নাম আসা ওই শিক্ষার্থীর বাবা জিনারুল ইসলাম ও মা সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বারে কল দিলে তারা মন্তব্য না করে ফোন কেটে দেন। পরে কয়েকবার চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষয়টি জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষা অফিসার (অ.দা.) জেসমিন আরা খাতুন জানান, তিনি চাকরির পরীক্ষার হলে থাকায় পরবর্তী সময়ে বিষয়টি যাচাই করে তারপর জানাবেন।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘ভর্তি লটারির পুরো কার্যক্রম ঢাকায় সম্পন্ন হয়েছে। বালক বিদ্যালয়ের তালিকায় বালিকার নাম ওঠা যদি হয়ে থাকে, তবে ঢাকার প্রযুক্তিগত কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে নাম যাচাই ও সংশোধনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের একই দিনে ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তি লটারিতে সাবিহা ইসলাম নামে এক বালিকার নাম প্রকাশিত হয়েছিল। একই বছর চুয়াডাঙ্গার আরো দুইটি বিদ্যালয়ে একাধিকবার একই শিক্ষার্থীর নাম উঠে আসার ঘটনাও ঘটে। এসব কারণে ডিজিটাল লটারি ব্যবস্থার নির্ভুলতা নিয়ে অভিভাবকদের আস্থাহীনতা রয়েছে।