মিয়া গোলাম পরওয়ার

রাজনৈতিক দলগুলো হিন্দুদের ব্যবহার করে ফায়দা হাসিল করেছে

খুলনার ডুমুরিয়ায় হিন্দু সম্মেলনে গোলাম পরওয়ার বলেছেন, স্বাধীনতার পর সব রাজনৈতিক দল হিন্দুদের ব্যবহার করে ফায়দা নিয়েছে; এখন হিন্দুদের স্লোগান- ‘সব মার্কা দেখা শেষ, দাঁড়িপাল্লার বাংলাদেশ।’

মো: আনোয়ার হোসেন আকুঞ্জী, ডুমুরিয়া (খুলনা)

Location :

Dumuria
হিন্দু সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
হিন্দু সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর এদেশের হিন্দুদেরকে সব রাজনৈতিক দলগুলো ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা হাসিল করেছে। এখন হিন্দুদের স্লোগান একটাই, সব মার্কা দেখা শেষ- দাঁড়িপাল্লার বাংলাদেশ।’

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে খুলনার ডুমুরিয়া স্বাধীনতা চত্বরে হিন্দু সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর ডুমুরিয়া উপজেলা সনাতন শাখার উদ্যোগে সনাতন হিন্দুদের সম্মানে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘যারা দাঁড়িপাল্লার জোয়ার দেখে হিন্দুদের ভয়-হুমকি দিচ্ছে তাদের হুমকিতে এবার হিন্দুরা ভয় পাবে না। হিন্দুদের কেউ বাধা দিলে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। জামায়াত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশ থেকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দখলদার দাফন করা হবে। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা সেই পরিবর্তন আনতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘দেড় হাজার জীবন, ৪০ হাজারের আহতের মধ্যদিয়ে চব্বিশের পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে ঢাবি, চবি, রাবি, জাবিসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও সেই বার্তা দেশবাসী দেখাবে, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি আরো বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোট দাঁড়িপাল্লার পক্ষে হোক- এই স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ারকে দেশের সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত করতে হবে।’

উপজেলা হিন্দু কমিটির সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মন্ডলের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রমত গাইন, শোভনা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সহ-সভাপতি মো: মোসলেম উদ্দিন, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সহ-সভাপতি ডা. হরিদাস মন্ডল, কানাই লাল কর্মকার ও প্রভাষক প্রশান্ত কুমার মন্ডল, কোষাধ্যক্ষ গৌতম কুমার মন্ডল, পল্লীশ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুভাষ সরদার, মাগুরখালী ইউনিয়ন সহ-সভাপতি সুজিৎ কুমার সরকার, ডুমুরিয়া সার্বজনীন পূজা মন্দির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আপোষ সিংহ, ধামালিয়া ইউনিয়ন সভাপতি গোবিন্দ কুন্ডু, রুদাঘয়া ইউনিয়ন সভাপতি বিপ্লব সরকার, রঘুনাথপুর ইউনিয়ন সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সরকার, খর্ণিয়া ইউনিয়ন সভাপতি নারায়ন রাহা, মাগুরঘোনা ইউনিয়ন সভাপতি বিশ্বনাথ দাস, সাহস ইউনিয়ন তন্ময় মন্ডল সভাপতি, ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন সভাপতি নিরঞ্জন রায়, রংপুর ইউনিয়ন সভাপতি তরুন কুমার মন্ডল, প্রিয়ংকা মন্ডল, মাগুরখালী ইউনিয়ন সভাপতি প্রদীপ কুমার সরকার,

আটলিয়া ইউনিয়ন সভাপতি অনিমেষ মন্ডল, গুটুদিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মনোরঞ্জন মন্ডল, শরাফপুর ইউনিয়ন সভাপতি গোবিন্দ কুমার বিশ্বাস, শোভনা ইউনিয়ন সভাপতি স্বদেশ হালদার, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন সভাপতি অরুন কুমার আচার্য প্রমুখ।