কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের একটি ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাতটি গ্রামের মানুষ। সেতুটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসী, কারণ এটিই তাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।
মোহনপুর ইউনিয়নের এই ভাঙা সেতুটি সংযোগ করেছে কুরুইন, মোহনপুর, ছোটনা, দিঘীরপাড়, বিহারমণ্ডল, নোয়াপাড়া ও বুড়িচংয়ের আবিদপুর গ্রামকে। প্রায় দুই মাস ধরে সেতুটির বেহাল অবস্থার কারণে চলাচলে সমস্যায় পড়েছে তারা।
মোহনপুর-ছোটনা গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত দোয়াইর খালের উপর ১৯৯২ সালে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। দীর্ঘ ৩৩ বছরেও কোনো সংস্কার না করায় সেতুটির এ অবস্থা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে বেরিয়ে পড়েছে লোহার রড, হয়েছে বড় আকারের গর্ত। চলাচলের জন্য ভাঙা স্থানে কাঠের পাটাতন বিছিয়ে রাখা হয়েছে। সেতুর নিচের অংশের পলেস্তরা খসে পড়ছে। ভারী কোনো যানবাহন উঠলেই সেতুটি কেঁপে ওঠে। সরজমিনে এসব চিত্র দেখা গেছে।
ছোটনা গ্রামের কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী ইউসুফ ও মোহনপুর গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, এ সেতু দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন অসংখ্য ছোট যানবাহন ও লোকজন পারাপার হয়। সেতুটি পার হয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যখন বিদ্যালয়ে যায়, ভয় লাগে। যেকোনো মুহূর্তে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কামাল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলেন। ব্যক্তি উদ্যোগে সংস্কার করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সেতুটি পুরাতন হওয়ায় সংস্কার করেও কাজ হবে না।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার বলেন, এই সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্য আমাদের হাতে কোনো প্রকল্প নেই। তবে কয়েক দিনের মধ্যে কিছু অংশ মেরামত করে দেয়া হবে।