রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র হরণ করার কারণেই জুলাই অভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সিরাজগঞ্জ প্রত্যাশা সাংস্কৃতিক সংসদের আয়োজনে স্থানীয় একটি হোটেলের হলরুমে দিনব্যাপী লেখক-শিল্পী সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ক্ষমতালোভী সরকার তা উপেক্ষা করে একচ্ছত্র শাসন কায়েম করেছে। যার ফলে জনগণ বাধ্য হয়ে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সীমাহীন অত্যাচারে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তারা ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল। লেখক, শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিকদের এখন কলম ধরতে হবে, কথা বলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ প্রত্যাশা সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি ড. খ ম আব্দুর রাজ্জাক। ‘সৃজনশীল লেখকের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মো: আমিনুজ্জামান তালুকদার।
আলোচনায় অংশ নেন সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো: ইসমাইল হোসেন, উল্লাপাড়া কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম, কামারখন্দ মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সবুর, ড. মো: ইউসুফ আলী, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো: জাহাঙ্গীর আলম, ড. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে ‘ফিরে দেখা জুলাই বিপ্লব-২০২৫ সংখ্যা স্ফুরণ’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহিনুর আলম, অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ, কাজীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মীর আশরাফ আলী, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মাওলানা হাবিবুল্লাহ সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ১০ জন গুণীজনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, জুলাই বিপ্লবের পরিবর্তনের হাওয়া আগামীতে একটি কল্যাণ ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।