শেরপুরে তিন দিন আটকে রেখে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ

শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে দু’টি চড় মেরেছিলাম। এরপর খালেদা সুস্থ ছিল কিন্তু রোববার হঠাৎ করে রাত দেড়টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

আকরাম হোসাইন, শেরপুর (বগুড়া)

Location :

Bogura
শেরপুর ম্যাপ
শেরপুর ম্যাপ |নয়া দিগন্ত

বগুড়ার শেরপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখার তিন দিন পর খালেদা খাতুন (৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

আজ সোমবার ভোরে পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়া কালিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামী মিলনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে চা বিক্রেতা মিলন প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখতেন। গত শনিবার দিবাগত রাতেও স্ত্রীকে মারধর করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে খালেদা বমি করতে শুরু করায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার ভোরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় খালেদাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর খালেদার লাশ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

খালেদার স্বামী মিলন বলেন, ‘শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে দু’টি চড় মেরেছিলাম। এরপর খালেদা সুস্থ ছিল কিন্তু রোববার হঠাৎ করে রাত দেড়টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।’

তাকে আটক করে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘খালেদা বাড়ি আর ঘরের মধ্যেই সবসময় থাকতেন, তাকে আটকে রাখিনি।’

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন জানান, মিলন তার স্ত্রী খালেদা খাতুনকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখায় খালেদার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ ঘটনায় মিলনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।