শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই দেশে প্রথম গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বরিশাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় রহমাতুল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা হরণ করেছিলেন শেখ মুজিব। পরবর্তীকালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ দেশের গণতন্ত্র
নিশ্চিত করেছিলেন শহীদ জিয়া। যে সমাজে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না সে সমাজকে গণতান্ত্রিক সমাজও বলা যায় না।
তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমের কারণেই মানুষ সমাজের প্রকৃত চিত্র জানতে পারে। যে রাষ্ট্রে গণমাধ্যম স্বাধীন থাকে না, সেই রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রও বলা যায় না।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন নিয়ে রহমাতুল্লাহ বলেন, এই নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এটি প্রথম নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও সেটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেনি তারা। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে কিনা- এই নিয়েই এখন জগণের মাঝে শঙ্কা বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে এখন থেকেই সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে গণতন্ত্র, রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আবারো হুমকির মুখে পড়বে।
দলের মনোনয়ন প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের সময় হলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার পক্ষেই কাজ করবে।
মতবিনিময়কালে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম খসরু, সহসভাপতি জাকির হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল আলম ফরিদ, কমল সেন গুপ্ত, মুরাদ আহমেদ, সাইফুর রহমান মিরণ প্রমুখ।