রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার লাশ পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বাড়িতে ভাঙচুর, পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় ১৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরমধ্যে মসজিদের একজন ইমাম ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা রয়েছেন। পরে তাদের সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
জানা যায়, হামলার সময় নুরাল পাগলের ভক্ত ও তৌহিদী জনতার মধ্যে সংঘর্ষে নিহত রাসেলের বাবা আজাদ মোল্লা গোয়ালন্দ ঘাট থানায় চার হাজার অজ্ঞাতনামা আসামির কথা উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় গোয়ালন্দ পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সমীর মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল লতিফকে (৩৫) মানিকগঞ্জ জেলার তার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া ছমির মোল্লা পাড়ার রঞ্জু শেখ (২২) নামে আরেক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে ওই সময় পুলিশের উপর হামলা ও তাদের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি ভাঙচুর মামলায় এসআই সেলিম মোল্লা ৩ হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় গোয়ালন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উজানচর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা এলাকার মো: লাল মিয়া মৃধার ছেলে হিরু মৃধা (৪০), পৌর শহরের দেওয়ান পাড়ার আবজাল সরদারের ছেলে শাফিন সরদার (১৯), জহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক জনি (৩২), কাজী পাড়ার আরিফ কাজীর ছেলে অপু কাজী (২৫) ও দক্ষিণ উজানচর দিরাজতুল্লা মৃধাপাড়ার মরহুম আক্কাছ মৃধার ছেলে মাসুদ মৃধাসহ (২৯) মোট ১৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের সবাইকে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম জানান, নুরাল বাড়িতে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। দুই মামলায় সাত হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে এ পর্যন্ত মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নুরাল পাগলা দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ইমাম মেহেদি দাবি করাসহ কলেমা ও আযান বিকৃতসহ নানা অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। একপর্যায়ে তৌহিদি জনতা গত ৫ সেপ্টেম্বর কবর থেকে তার লাশ তুলে পুড়িয়ে দেয়।