অবশেষে এনআইডি কার্ড পাচ্ছেন হাত না থাকা কলেজছাত্র জসিম

দুই হাত না থাকা কলেজছাত্র জসিম মাতুব্বর অবশেষে জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছেন। ইউএনও ও নির্বাচন কর্মকর্তার সহায়তায় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

হারুন আনসারী, ফরিদপুর
কাজী আফতাব হোসেন, নগরকান্দা (ফরিদপুর)

Location :

Faridpur
জসিমের জাতীয় পরিচয়পত্রের তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে
জসিমের জাতীয় পরিচয়পত্রের তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়েছে |নয়া দিগন্ত

অবশেষে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) পাওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে জসিম মাতুব্বরের (২৫)। পা দিয়ে লিখে সাফল্যের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে জসিম মাতুব্বর এখন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। জন্ম থেকেই দু’টি হাত নেই তার, পা দিয়েই চলছে লেখাপড়া ও দৈনন্দিন কাজকর্ম।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সম্পন্ন করা হয় এনআইডি পেতে প্রয়োজনীয় কাজ।

জসিম ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তামলা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের হানিফ মাতুব্বর ও তসিরণ বেগম দম্পতির সন্তান।

হাত না থাকায় আঙ্গুলের ছাপ দিতে পারছিলেন না জসিম, জাতীয় পরিচয়পত্র করতে জটিলতায় পড়ে যান তিনি। প্রায় দু’বছর নির্বাচন অফিসে ঘুরেও পাচ্ছিলেন না জাতীয় পরিচয়পত্র। ইতোমধ্যে দৈনিক নয়া দিগন্তেও এ বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়।

সংবাদ প্রকাশের পর শুরু হয়েছে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের তৈরির কার্যক্রম।

জসিম বলেন, আমার কলেজের কাজে ও দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হয়। দৈনিক নয়া দিগন্ত এ সংবাদ প্রকাশের পরে ইউএনও ও নির্বাচন কর্মকর্তা খুব আন্তরিকতার সাথে আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ শুরু করেছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাওন সাগর জানান, হাত না থাকায় জসিমের ফিঙ্গারিং নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সে পা দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। পা দিয়ে করা ওই স্বাক্ষর স্ক্যান করে সরবরাহ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। এছাড়া তার চোখের আইরিশ স্ক্যান নেয়া হয়।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবির উদ্দিন জানান, জমিমের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতির জন্য আমরা সব কাজ সম্পন্ন করে ঢাকা নির্বাচন অফিসে পাঠিয়েছি। আশা করি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জমিম জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, জসিমকে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা উপহার দিয়েছি।