জীবননগরে চতুর্থবারের মতো সেরা আখ চাষি হলেন শামীম

আখ চাষে তরুণদের এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজন সরকারি সহায়তা ও বাজারমূল্যের স্থিতিশীলতা।

আতিয়ার রহমান, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা)

Location :

Chuadanga
চাষি শামীম।
চাষি শামীম। |নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে টানা চতুর্থবারের মতো কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সেরা আখ চাষি নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলার উথলী গ্রামের কৃষক শামীম হুসাইন। একরপ্রতি সর্বোচ্চ ৫৭ মেট্রিক টন আখ উৎপাদন করে তিনি আবারো প্রতিষ্ঠানটির শ্রেষ্ঠ আখ চাষির সম্মান অর্জন করেন।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে কেরুর কেইন ক্যারিয়ার প্রাঙ্গণে ২০২৫-২৬ মাড়াই মৌসুমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার শেষে শামীম হুসাইনের হাতে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তুলে দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

উথলী গ্রামের মরহুম আব্দুর রহমানের ছেলে শামীম হুসাইন জানান, চলতি মৌসুমে তিনি মোট চার একর জমিতে আখ চাষ করেন। কেরু মিল কর্তৃপক্ষের কারিগরি সহযোগিতা, সঠিক পরিচর্যা এবং পরিশ্রমের ফলে তিনি একরপ্রতি রেকর্ড পরিমাণ আখ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘কেরুজের বিশেষজ্ঞদের নিয়মিত পরামর্শ, মানসম্মত বীজ, সময়মতো সার ও সেচের সুবিধা পেয়েছি। নিজের অক্লান্ত পরিশ্রম ও পরিবারের সহযোগিতায় উৎপাদন বাড়াতে পেরেছি। টানা চার বছর সেরা চাষি হতে পারাটা আমার জন্য গর্বের।’

এবারের সম্মাননা পাওয়ায় তিনি মিল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘আখ চাষে তরুণদের এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজন সরকারি সহায়তা ও বাজারমূল্যের স্থিতিশীলতা। আমি সকলের দোয়া চাই যাতে আগামী দিনে আরো উন্নত উৎপাদন করতে পারি।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা জানান, শামীম হুসাইনের মতো সফল কৃষকরা দেশের চিনিশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। আধুনিক ও লাভজনক কৃষি ব্যবস্থার উদাহরণ হিসেবে তার অর্জনকে মডেল হিসেবে প্রচার করার আহ্বান জানান তারা।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘কেরু অ্যান্ড কোম্পানি সবসময় ভালো চাষিদের সম্মানিত করে থাকে। ভবিষ্যতে আখচাষ আরো আধুনিক করতে সরকার প্রণোদনা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়াবে।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান রশিদুল হাসান, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো: রেজাউল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: রাব্বিক হাসান। এছাড়া মিলের কর্মকর্তা, চাষি প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।