চুয়াডাঙ্গায় শীতের প্রকোপ বেড়ে গিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে বইতে থাকা কনকনে হিমেল বাতাস, কুয়াশা আর শীতল পরিবেশে দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশাচালক ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে মৌসুমের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ। তাদের মতে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
শীতের তীব্রতা বাড়লেও জীবিকার তাগিদে থেমে নেই পরিশ্রমী মানুষের কাজ। ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে ভোর থেকেই কাজে নেমে পড়ছেন দিনমজুর ও শ্রমিকরা।
এদিকে, শীত বাড়ার সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু রোগী বেশি আসছে।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শীতজনিত কারণে ডায়রিয়া ও শিশু রোগীর চাপ বেড়েছে। এর মধ্যে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর–ঠাণ্ডা ও ডায়রিয়া রোগী বেশি। তবে তুলনামূলকভাবে বয়োবৃদ্ধ রোগী কম আসছেন। প্রতিদিন আউটডোরে শীতজনিত কারণে ২০০ থেকে ৩০০ শিশু ও বৃদ্ধ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: জামিনুর রহমান বলেন,
‘আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। শৈত্যপ্রবাহেরও সম্ভাবনা রয়েছে।’



