বিদ্যমান এলাকা নিয়েই গঠিত হচ্ছে বগুড়া সিটি করপোরেশন

বগুড়া পৌরসভা সকল শর্ত পূরণ করেছে। তাই গেজেট প্রকাশের জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

আবুল কালাম আজাদ, বগুড়া অফিস

Location :

Bogura
সংগৃহীত

দেড় শ‘ বছরের পুরনো বগুড়া পৌরসভার বিদ্যমান এলাকার ২১টি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে সিটি করপোরেশন ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। এ নিয়ে গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গেজেট প্রকাশের জন্য প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হয়েছে। নতুন কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হলে চলতি মাসেই গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ১৩তম বগুড়া সিটি করপোরেশন পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

জানা যায়, এর আগে ২৭ এপ্রিল সিটি করপোরেশন ঘোষণার জন্য জনসাধারণের মতামত চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন জেলা প্রশাসক। পরে প্রস্তাবিত এ সিটির সীমানায় সদর ও শাজাহানপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে কিছু ব্যক্তি। এদিকে ২৩ জুন শুনানিকালে আবেদনকারীরা জটিলতার আশঙ্কায় সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর নতুন এলাকা সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্তির মতামত দিলে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি হয়। পরে ৮ জুলাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিটি করপোরেশন ঘোষণার গেজেট প্রকাশের জন্য চিঠি পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বগুড়া পৌরসভা এলাকার জনসংখ্যা ৫.২৫ লাখ (২০২৩ সালের জাতীয় ভোটার তালিকা অনুসারে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার )। সিটি করপোরেশন ঘোষণার জন্য স্থানীয় সরকার বিধিমালা অনুযায়ী ন্যূনতম জনসংখ্যা ৫ লাখ পূরণ করে বগুড়া পৌরসভা।

জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজ বলেন, ‘বগুড়া পৌরসভা সকল শর্ত পূরণ করেছে। তাই গেজেট প্রকাশের জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ১৮৭৬ সালের ২ জুলাই বগুড়া মিউনিসিপ্যালিটি ঘোষণা করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। পরবর্তী সময়ে আয়তন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির পর পৌরসভা ঘোষণা করে সরকার। সর্বশেষ ২০০৬ সালের শেষ দিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকার পৌর এলাকার আশপাশের নতুন এলাকা যুক্ত করে ৫৬টি মৌজা নিয়ে ১৪টি ওয়ার্ড থেকে ২১টি ওয়ার্ডে উন্নীত করে। কিন্তু পরের নির্বাচনে সরকার পরিবর্তনের কারণে চাহিদা মোতাবেক উন্নয়ন বরাদ্দ পায়নি বগুড়া পৌরসভা। ফলে প্রায় ২০ বছর আগে পৌর এলাকায় অন্তর্ভুক্তি হলেও আজো ওই সব এলাকার নাগরিকরা পৌর সুবিধা পাননি। সেখানে অধিকাংশ রাস্তা কাঁচা ও আধা পাকা রয়েছে আজো। এছাড়া নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সুবিধা।