সর্বাধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার জন্য নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (২০ মে) লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে মেলায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
রেজাউল করিম বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং বিজ্ঞান নিয়ে তাদের চিন্তার কথা গুরুত্ব ও মনোযোগ দিয়ে শোনেন। একই সাথে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেন। এ সময় মহানগরী সেক্রেটারির সাথে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াত আমির অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান, নায়েবে আমির মাওলানা জহিরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ হারুনুর রশিদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নেতারা।
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতা মানবসভ্যতাকে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছে। আধুনিক সভ্যতায় বিজ্ঞানের জয়জয়কার চলছে। নিকট অতীতে যা অসম্ভব মনে হয়েছিলো, তা এখন খুবই সম্ভবে পরিণত করা হয়েছে। এখন যেসব অসম্ভব মনে হচ্ছে, সর্বাধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণ তাও হয়তো একদিন সম্ভব হবে। তাই আমাদের নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষা এবং তার যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে চলমান যেকোনো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোবেলায় নিজেদেরকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে হবে।’
তিনি শিক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আজকের এ আয়োজন শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, বরং এটি জ্ঞানের উৎসব, সৃষ্টিশীলতার মঞ্চ এবং আগামী দিনের বিজ্ঞানীদের উৎস ভূমি। যারা আজ এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করছো, তারা শুধু একজন শিক্ষার্থী নয় বরং তারা আগামী দিনের গবেষক, প্রকৌশলী, চিকিৎসক কিংবা বিজ্ঞানী।’
তিনি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশকে মূল্যবোধভিত্তিক আদর্শে রাষ্ট্রে পরিণত করতে সকলকে একযোগ কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আমাদের জাতীয় জীবনের যত বড় বড় অর্জন তার সিংহভাগই এসেছে শিক্ষার্থীদের তথা তরুণ্যের হাত ধরেই। আগস্ট বিপ্লবও এসেছে শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই। যা আমাদেরকে নতুন এক স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন করলেই চলবে না বরং আদর্শ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে একযোগে কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সমাজ পরিবর্তন ও মূল্যবোধ চর্চার অগ্রদূত হিসেবে গণসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা উপলব্ধি করে তা সাধ্যমত সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনই হবে শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।’
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম শিক্ষার্থীদের আর্ত-মানবতার কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।