যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের আবেইতে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত মাসুদ রানার গ্রামের বাড়ি নাটোরের লালপুরে চলছে স্বজনদের শোকের মাতম।
নিহত মাসুদ রানা নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামের মরহুম সাহার মালিথার ছেলে। তার স্ত্রীসহ নয় বছরের একটি মেয়েসন্তান রয়েছে।
মাসুদ রানা ২০০৬ সালের ৬ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশনে যশোর সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। পরে নভেম্বর মাসে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেন তিনি।
তার একমাত্র ভাইও সেনাবাহিনীতে কর্মরত। এছাড়া তার তিন বোন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সুদানের আবেইতে অবস্থিত সেনা ছাউনিতে সন্ত্রাসীরা হামলা করলে সেনা সদস্য করপোরাল মাসুদ রানাসহ ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হন। একইসাথে আহত হয়েছে আরো আটজন।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ওই এলাকায় পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল রয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের সাথে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও উদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মাসুদ রানার প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মাসুদ রানা অত্যন্ত বিনয়ী স্বভাবের ছিলেন। তিনি বাড়িতে এলে আমাদের খোঁজখবর রাখতেন। প্রতিবেশীর সাথে সুন্দর আচরণ করতেন।’



