বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে অর্জিত বিজয় হাতছাড়া হয়ে যাবে, যদি এ দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধ না হয়। নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যেই জামায়াত কাজ করছে।’
শুক্রবার (১৩ জুন) নগরীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত থানা শূরা সদস্য শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে এ দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাস- গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস এবং অন্যায়-জুলুমের ইতিহাস। দেশের মানুষ আর কোনো জুলুমবাজ সরকার দেখতে চায় না। এছাড়া আর কোনো ডামি নির্বাচনও দেখতে চায় না। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে কলঙ্কিত করেছে।’
জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘ইসরাইল ফিলিস্তিনে অন্যায়ভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইসরাইলকে প্রতিরোধ করতে হবে। শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসীকে ইহুদিদের পণ্য বর্জন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী এ দেশের মাটিতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। একামাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলীর সভাপতিত্বে শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনটির রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, টিম সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর আবুল হাশেম।
রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম, সহকারী সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রাজশাহী মহানগর সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, শিল্প ও বাণিজ্য সেক্রেটারি অধ্যাপক এ কে এম সারওয়ার জাহান প্রিন্স, সাংগঠনিক সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, অফিস সেক্রেটারি তৌহিদুর রহমান সুইট, প্রশিক্ষণ সেক্রেটারি ও জামায়াত মনোনীত পবা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফেজ নুরুজ্জামান।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মাওলানা কেরামত আলী বলেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আগামীতে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। সৎ মানুষের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। এ দেশের মানুষ শান্তি চায়, এ দেশের মানুষ নিজেদের নাগরিক অধিকার চায়। আর কোনো স্বৈরশাসন মানুষ দেখতে চায় না।’