মাদারীপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছের গুড়ি অপসারণ করলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়।

মাদারীপুর প্রতিনিধি

Location :

Madaripur
গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ।
গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ। |নয়া দিগন্ত

মাদারীপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শাটডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে একাধিক গাছ ফেলে অবরোধ করা হয়েছে। এ সময় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টায় মহাসড়কের গোপালপুর এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

প্রায় চার ঘণ্টা চলাচল বন্ধ থাকার পরে কালকিনি ও ডাসার থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছের গুড়ি অপসারণ করলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক ও কালকিনি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলার সীমান্তবর্তী গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে সকাল ৬টা থেকে অবস্থান নিতে শুরু করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এ সময় যন্ত্রের সাহায্যে ১০ থেকে ১২টি গাছ কেটে তারা মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ফেলে রাখেন। এতে উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পড়েন দূরদূরান্তের যাত্রী ও চালকেরা। এ সময় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে আওয়ালীগ নেতাকর্মীরা নানা ধরণের স্লোগান দেন। খবর পেয়ে কালকিনি ও ডাসার থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলের গেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে মহাসড়কে কেটে রাখা গাছ সরিয়ে দিলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক ও কালকিনি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার। এ সময় তারা বলেন, শেখ হাসিনাকে ফাঁসি দেয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে শাটডাউন কর্মসূচি চলছে।’

এ বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি নিজে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমরা কাটাগাছগুলো অপসারণ করেছি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে।’

যানচলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন গাছ কেটে মহাসড়কে ফেলে রাখে। তাই গাছগুলো অপসারণ করতে হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।