গাজীপুরের কালীগঞ্জে কৃষক মনির মোল্লা (৫৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মো: বেদন মৃধা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পূর্ব বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো: শরিফ উদ্দীন এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, ৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মনির মোল্লা বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পূর্বাচল সিটির ২৪ নম্বর সেক্টরে ফরেস্ট বিট অফিসের পূর্ব পাশের মাঠে তাকে কে বা কারা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল সম্পন্ন করেন এবং লাশ শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো: আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও স্থানীয় সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে ৮ ডিসেম্বর দুপুরে জয়দেবপুরের টেকপাড়া এলাকা থেকে মো: বেদন মৃধাকে গ্রেফতার করে।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি বেদন মৃধা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং জানায় যে পূর্বের বিরোধ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না সেই বিষয়ে ডিবি ও কালীগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো: আবু খায়ের, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো: আমিনুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।



