এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হলে জাতির জন্য ভালো হবে : এটিএম আজহার

‘জামায়াত অবশ্যই নির্বাচন চায়, তবে সেই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হতে হবে। সেই নির্বাচনে যেন আগের মতো কোনো পরিবেশ সৃষ্টি না হয়।‘

সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর ব্যুরো

Location :

Rangpur
নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে এটিএম আজহার
নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে এটিএম আজহার |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কারামুক্ত সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বিপ্লব পরবর্তী সময়কার যৌক্তিক সংস্কার এবং বিচার দৃশ্যমান্যের পরই অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত সময়-এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হলে জাতির জন্য ভালো হবে।

শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১০টায় রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে এ টি এম আজহার বলেন, ‘জামায়াত অবশ্যই নির্বাচন চায়, তবে সেই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হতে হবে। সেই নির্বাচনে যেন আগের মতো কোনো পরিবেশ সৃষ্টি না হয়।‘

যৌক্তিক সংস্কারের পরেই এপ্রিলে নির্বাচন হলে সেটা জাতির জন্য ভালো হবে উল্লেখ করে এ টি এম আজহার বলেন, ‘যেহেতু একটা বিপ্লব হয়েছে এই বিপ্লবকে স্থায়ী করতে হলে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন। যেটাতে আমরা সব দলই রাজি। সেকারণে সংস্কার হতে হবে। সে কারণে যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই আমরাই বলেছিলাম এটা ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে, এপ্রিলে হতে পারে। আমাদের এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি নাই। সংস্কার করে এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচনটা হলে জাতির জন্য ভালো হবে।‘

পরে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রংপুর ত্যাগ করেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে তিনি নিজ বাসভূমি বদরগঞ্জের উদ্দেশে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসেন। এরপর সকালে তারাগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এবং বিকেলে বদরগঞ্জের শাহাপুর মাঠে পৃথক দু’টি শোকরানা সমাবেশ এবং ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। কারামুক্ত হওয়ার পর এটাই ছিল তার প্রথম রংপুর সফর। এছাড়াও তিনি সন্ধ্যায় তার নিজ বাসভূমি লোহানীপাড়ায় যান সেখানে পরিবারের লোকজনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পুরো কর্মসূচিতে তাকে পেয়ে পরিবার স্বজন ও নেতাকর্মীরা আবেগাল্পুত হয়ে পড়েন।

গত ২৮ মে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

এর আগে, ২৭ মে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এ টি এম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সর্বসম্মতিক্রমে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং দু’টি অভিযোগে কারাদণ্ড দেন। ছয়টি অভিযোগের মধ্যে একটি থেকে তিনি খালাস পেয়েছিলেন। আপিলের রায়ে তাকে সব অভিযোগে থেকে মুক্তি দেয়া হয়।