ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে বিচ্ছিন্ন করে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে এক সপ্তাহ ধরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন স্থানীয়রা।
আজ সোমবার সকাল ১০টার পর ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করেন। বর্তমানে প্রশাসনের সহযোগিতায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার পর থেকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পুকুরিয়া, সুয়াদি, মুনসুরাবাদসহ ১০টি স্থানে অবরোধ শুরু হয়। এতে ভাঙ্গার উপর দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সংসদীয় আসনের পুনঃনির্ধারিত সীমানার তালিকা প্রকাশ করে। এতে ফরিদপুর-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে পরদিন থেকেই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়, যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।
অন্যদিকে, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় ৯০ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে ভাঙ্গা থানার এসআই হাবিবুর রহমান মামলাটি দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের প্রধান ম.ম. সিদ্দিক মিয়াকে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সুয়াদি এলাকায় সিসিবিএল তেল পাম্পের সামনে বড় গাছ ফেলে, টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে রাস্তা অবরোধ করেন আসামিরা। পুলিশের বাধা অমান্য করে তারা মারমুখী অবস্থান নেন। পরে পুলিশ ও সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আশরাফ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার দুপুরে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি ম.ম. সিদ্দিক মিয়াকে গত শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।