গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় ১৪ শ’ মানুষ হত্যার দায়ে খুনি হাসিনার ১৪ শ’ বার ফাঁসি হওয়া উচিত।’
রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের সহ সভাপতি ও ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ ইব্রাহিম রওনকের সাথে নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগের সময় তিনি এ কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার নির্দেশে গণহত্যা চালিয়েছিলো। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সেটাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয় ১৪ শ’ র বেশি ছাত্র জনতাকে হত্যা করা হয়। আগামীকাল সোমবার মানবতারবিরোধী অপরাধের ৫টি অভিযোগের রায় হবে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির। জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার নির্দেশদাতা ছিলো খুনি হাসিনা। আমরা আশাকরি আগামীকাল খুনি হাসিনাসহ অন্য আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। খুনি হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পেট্রোল বোমা ও ককটেল মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে। পলাতক লীগ ভারতের ‘র’ সেই রায়কে কেন্দ্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। একটা কথা স্পষ্ট কোনো ষড়যন্ত্রই খুনি হাসিনাকে ফাঁসির হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না। খুনি হাসিনাসহ অন্য আসামিদের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে জনগণ। আওয়ামী লীগকে এই দেশে আর রাজনীতি করতে দিবে দেশের মানুষ।’
গণঅধিকার পরিষদের সহ সভাপতি ও ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক বলেন, ‘এই এলাকার মানুষের সবচেয়ে বড় কষ্ট জলাবদ্ধতা, আমরা সেটা নিরসনে কাজ করবো। আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলেও তাদের রেখে যাওয়া চাঁদাবাজি দখলদারি বন্ধ হয়নি, কেবল হাত বদল হয়েছে।’
জনগণের প্রতি আহ্বান, আপনারা চাঁদাবাজ দখলদারদের বিরুদ্ধে ভোট দিবেন। আমরা এই এলাকার মানুষের শান্তি নিশ্চিতে কাজ করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য রকিবুল ইসলাম জিসান, যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জাহাঙ্গীর হিরন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মুনায়েম, গণঅধিকার পরিষদ কতদমলী থানার আহ্বায়ক বশির আহমেদ, ডেমরা থানার যুগ্ম সাধারণ যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ



