পাবনার ঈশ্বরদীতে নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসির (নেসকো) অফিসার কর্তৃক গ্রাহকদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে ‘ঈশ্বরদী সচেতন নাগরিক ফোরামের’ উদ্যোগে শহরের প্রধান সড়ক স্টেশন রোডের ১ নম্বর গেট এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তারা নেসকো কর্তৃক ঈশ্বরদী সচেতন নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক প্রভাষক রাজিবুল আলমসহ দুই শতাধিক মানুষের নামে দেয়া মামলা প্রত্যাহার ও প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য তিন দিনের সময় বেঁধে দেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে ঈশ্বরদীর প্রায় ২০টি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ অংশ নেয়।
সভাপতির বক্তব্যে ফোরামের আহ্বায়ক প্রভাষক আ ফ ম রাজিবুল আলম ইভান বলেন, ‘আগামী তিন দিনের মধ্যে ঈশ্বরদী নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুন নূরকে অপসারণ করতে হবে। সেইসাথে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা ও ঈশ্বরদীসহ পুরো উত্তরাঞ্চল অচল করে দেয়ার হুমকিদাতা নেসকোর মিটার রিডার কর্মচারী ঈশ্বরদী পৌরসভার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।’
ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মো: আনোয়ার হোসেন জনির সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মাহাবুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মো: নান্নু রহমান, এনসিপি নেতা আহসান হাবিব, মাহমুদ খান বিদ্যুৎ, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম রাজা প্রমুখ।
জানা যায়, ঈশ্বরদী বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ এনে প্রায় দুই শতাধিক মানুষের নামে মামলা দায়ের করেছে নেসকো।
এছাড়া কোম্পানিটি গ্রাহক পর্যায়ে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলে তা বাতিলের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদীতে আন্দোলন চলে আসছিল। তখন নেসকোর ঈশ্বরদী কর্তৃপক্ষ জানায়, সিদ্ধান্ত বাতিলের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। আপাতত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত মিটার স্থাপন বন্ধ থাকবে। কিন্তু হঠাৎ করেই নেসকো কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রিপেইড মিটার নিতে গ্রাহকদের বাধ্য করলে প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর ঈশ্বরদী ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেয়া হয়।
 


