৮-১০ লাখ টাকার ক্ষতি

মুলাদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর মৃত্যুতে লঙ্কাকাণ্ড

মুলাদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভাংচুরসহ প্রায় ৮-১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী (বরিশাল)

Location :

Muladi
মুলাদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর মৃত্যুতে লঙ্কাকাণ্ড
মুলাদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর মৃত্যুতে লঙ্কাকাণ্ড |নয়া দিগন্ত

বরিশালের মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ২০মিনিটে মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে ভাংচুরসহ প্রায় ৮-১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মুলাদী পৌরসভার দক্ষিণ তেরচর ৩ নম্বর ওয়ার্ড বেইলি ব্রীজ এলাকা বাংলালিংক টাওয়ার সংলগ্ন খন্দকার বাড়ির মো: মফসের খন্দকার (৫০)-কে অসুস্থ্য অবস্থায় মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত ডা: শাহারাজ হায়াত মৃত্যুর ঘোষণা দিলে হাসপাতালে লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়।

মৃত্যুর খবর শুনেই মৃত মফসের খন্দকারের সাথে থাকা ইব্রাহিম ও হানিফ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মেশিনপত্র, পালস অক্সিমিটার, প্রেসার মাপা যন্ত্র, অক্সিজেন কনসেট্রেটর মেশিন ও অফিসের আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা। তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের স্টাফ নুরুজ্জামানের ওপরে হামলা করে আহত করে। এক পর্যায়ে ডাক্তার শাহারাজ হায়াতের ওপরেও ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করার চেষ্টা করে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ওপর হামলা করে। পপুলার ফার্মাসিউটিক্যাল মুলাদী উপজেলা প্রতিনিধি মো: পারভেজ ও মো: আরমান আহত হয়। আহত পারভেজের উপর হিংস্র পশুর মতো বুকে কামড় দিয়ে আহত করে। আহতর পরিবারের সদস্যরা বলেন, চিকিৎসায় বিলম্বিত হওয়ায় রোগী মারা গেছে।

ডা: শাহারাজ হায়াত বলেন, রোগীর সাথে সাথে পালস দেখি, প্রেসার দেখি ও অক্সিজেন দেয়ার পরেও কোনোভাবেই জীবিত না পেয়ে ইসিজি মেশিন দ্বারা পরীক্ষা করার পর শতভাগ নিশ্চিত হয়ে মৃত্যু ঘোষণা করি।

হাসপাতালের ভাংচুরের খবর শুনে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিজাম উদ্দিন, থানা সাব ইন্সপেক্টর সালেহ, থানা তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সাংবাদিকবৃন্দদের উপস্থিতিতে উপজেলা প: প: কর্মকর্তা ডা: মো: সাইয়েদুর রহমান সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখানো হয় তাতে ডাক্তার রোগীর চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো গাফলতি দেখা যায়নি ও হাসপালের ভাংচুরের দৃশ্য দেখানো হয়।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পণা কর্মকর্তা ডা: মো: সাইয়েদুর রহমান দোষী ব্যক্তিদের আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।