বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশে অনেক সংকট থাকার পরও ড. ইউনুস সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন জানিয়েছি। কেননা এই সরকার শেখ হাসিনার সরকারের মতো বিদেশে অর্থ পাচার করবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে, জনগণের রায় বুঝে আগামী রমজানের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে নামবেন না, তাহলে আপনাদের নিজেদেরই উপর অনেক কিছু নেমে আসবে।’
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রামের ১০ শহীদ পরিবারকে ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দুয়েকটি ইসলামী দল রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। এখন আপনারা টার্গেট করেছেন তারেক রহমান ও বিএনপিকে। বুক-পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই। জিয়াউর রহমান মারা গেলে, এরশাদ বন্দুকের নল দিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করলো। সেই এরশাদের সাথে কেউ যাবে না বললেও আপনারা চলে গেলেন। শেখ হাসিনার সাথেও চলে গেলেন। সবসময় সুবিধা খুঁজে বেড়ান, সবসময় ধান্দা খুঁজে বেড়ান। আপনারা চলে গেলেও বিএনপি যায় নাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যায় নাই। জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা থেকে খালেদা জিয়া সরে যাননি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১৬ বছর লড়াই করেছি। আইনের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হোক, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক, একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। ১৬ বছর ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে এত গড়িমসি কেন? জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন দিতে হবে।’
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে রিজভী বলেন, ‘এ ব্যাপারে জড়িতদের শুধু বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হয়েছে।’
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবারকে সহায়তা অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমরা বিএনপি পরিবারের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান রুমন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, সাইফুর রহমান রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রাম জেলায় শহীদ রায়হানুল ইসলাম, শহীদ সৈকত, শহীদ শফিকুল ইসলাম, শহীদ শফিকুল ইসলাস শফি, শহীদ রাশেদুল ইসলাম, শহীদ নুর আলম, শহীদ কামাল আহমেদ বিপুল, শহীদ আশিকুর রহমান, শহীদ জহির ও শহীদ গোলাম রব্বানী, পরিবারের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা তুলে দেয়া হয়।