ভান্ডারিয়ায় নামাজরত অবস্থায় ছাত্রকে পেটালেন শিক্ষক শ্যামল কৃষ্ণ

এ নিয়ে এলাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। পরে ওই শিক্ষক সকলের কাছে ক্ষমা চান। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

মামুন হোসেন, ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর)

Location :

Pirojpur
বোথলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
বোথলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় |নয়া দিগন্ত

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় কক্ষ শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে নামাজে যাওয়ায় ঘটনায় জিয়াদ নামে ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কৃষ্ণ মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা বোথলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জিয়াদের মা নাসরিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ক্লাস চলাকালীন সময় জিহাদসহ একাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে থাকা নামাজের নির্ধারিত স্থানে জোহরের নামাজ আদায় করতে যায়। এ সময় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কৃষ্ণ মিস্ত্রী নামাজের স্থানে গিয়ে প্রথমে জিয়াদকে নামাজরত অবস্থায় পেয়ে তাকে বেত্রাঘাত করে। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা নামাজের স্থান ত্যাগ করে।

এদিকে ঘটনাটি কিছুক্ষণের মধ্যে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রধান শিক্ষক শ্যামলকৃষ্ণ মিস্ত্রী সকলের কাছে ক্ষমা চান।

পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার ওই শিক্ষককে সাবধান করেন বলে জানান। একইসাথে আর কোনো দিন এ রকম ঘটনা না ঘটানোর নির্দেশ দেন। পরে এ কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় নিউজ না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শ্যামল কৃষ্ণ মিস্ত্রী জানান, ‘আমি দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছি সঠিক; কিন্তু নামাজের গিয়ে তাদের এলোমেলো অবস্থায় দেখার কারণে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্মুখে উপস্থিত করেছি, তিনি সিদ্ধান্ত দেবেন।’