চট্টগ্রামের রাউজানে কর্ণফুলী নদীর পাড়ের বালুমহল নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপিকর্মী ও ব্যবসায়ী আবদুল হাকিমকে (৫২) টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল বলে দাবি করছে পুলিশ।
আসামিদের গ্রেফতারের পর জবানবন্দির বরাতে পুলিশ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ৭ অক্টোবর আবদুল হাকিম প্রাইভেটকারে চট্টগ্রাম শহর থেকে তার গ্রাম রাউজানের বাগোয়ানের হামিম অ্যাগ্রোফার্মে যান। বিকেলে শহরে ফেরার পথে মদুনাঘাট সেতুর পশ্চিম পাশে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে করে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার গাড়ির সামনে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে আবদুল হাকিম নিহত হন এবং তার গাড়িচালকও গুলিবিদ্ধ হন।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সূত্র ধরে পুলিশ গত ৩১ অক্টোবর রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীব উল্লাহপাড়া এলাকা থেকে মো: আবদুল্লাহ খোকনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন এবং ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে জবানবন্দি দেন।
পরে মো: আবদুল্লাহ খোকনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২ নভেম্বর রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাট এলাকা থেকে মো: মারুফ নামের আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত দুই আসামির তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে মো: সাকলাইন হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দেশী একনলা বন্দুক, একটি এলজি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। একইদিন জিয়াউর রহমান নামের আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মো: আবদুল্লাহ খোকন, মো: মারুফ, মো: সাকলাইন হোসেন ও জিয়াউর রহমানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়।
হাটহাজারী পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আজিজ বলেন, ‘কর্ণফুলী নদী পাড়ের বালুমহলের নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসীদের দুটি পক্ষ এতে অংশ নিয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত আরো ১০-১২ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে এবং তাদের ধরতে অভিযান চলছে।’



