বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের ফেনী জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০) দুপুরে শহরের ডিএম কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রফেসর ড. শাহজাহান মাদানী।
প্রফেসর ড. শাহজাহান মাদানী বলেছেন, অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের পাওনা তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দিতে হবে। অবসরের টাকা দিতে গড়িমসি কেনো। অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের নিয়ে সম্মেলন ডাকা হবে। দাবি আদায় না হলে ঢাকার রাজপথে অনশন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এক-দেড়মাস আগে আড়াইশ কোটি টাকা দেয়া হয়। প্রতিমাসে ১০০ কোটি টাকার মতো আবেদন জমা হয়। এজন্য সরকারের বাজেট বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানান শাহজাহান মাদানী।
পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে ও আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ড. আনোয়ার হোসেন মোল্লা, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যক্ষ মুফতি ফারুক আহমাদ, যুগ্ম-সম্পাদক ড. সাইফুল ইসলাম রফিক, ফেনী জেলা শাখার উপদেষ্টা অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, জামায়াতের জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মো: ইসমাইল।
আরো বক্তব্য দেন জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুর রহীম, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সদর উপজেলা সভাপতি হাবিব উল্যাহ বাহার, মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সদর উপজেলা সভাপতি মাওলানা বজলুল করিম ফেনী শহর সভাপতি মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারুক, ছাগলনাইয়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা সামছুল করিম, সোনাগজী উপজেলা সভাপতি মাওালানা ইব্রাহীম খলিল, দাগনভূঞা উপজেলা সভাপতি মাওলানা ফারুক আহমদ, ফুলগাজী উপজেলা সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম, পরশুরাম উপজেলা সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব মজুমদার প্রমুখ।
অধ্যক্ষ মুফতি ফারুক আহমাদ বলেন, মাদরাসা শিক্ষা যুগ যুগ ধরে বৈষম্যের শিকার। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, অনার্স-মাষ্টার্স পর্যায়ের কলেজ থাকলেও সরকারি ইবতেদায়ী মাদরাসা, দাখিল মাদরাসা, আলিম মাাদরাসা, ফাজিল মাদরাসা নেই। সরকারের কাছে প্রতিটি জেলায় একটি কামিল মাদরাসা, উপজেলায় একটি ফাজিল মাদরাসা, নীতিমালা আছে এমন দাখিল মাদরাসা সরকারীকরনের দাবি জানান তিনি।
ড. আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, বেতন, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা বৈষম্য রয়েছে। স্কুল-মাদরাসার শিক্ষকদের মধ্যে রাখা যাবে না। এগুলো সুন্দর সুরাহা করতে হবে। এ ব্যাপারে মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ সোচ্চার থাকবে।
সম্মেলনে মাদরাসা শিক্ষকদোর ১৭ দফা দাবি তুলে ধরে অনতিবিলম্বে কার্যকর করতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।