চুরির অভিযোগে যুবলীগ নেতাকে গণধোলাই

ইছা মিয়া এর আগেও একাধিক বাড়ি ও মসজিদে চুরি করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

মেহেদী হাসান ভূঁইয়া, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
চুরি করে গ্রামবাসীর কাছে আটক যুবলীগ নেতা ইছা
চুরি করে গ্রামবাসীর কাছে আটক যুবলীগ নেতা ইছা |নয়া দিগন্ত

চুরির ঘটনায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইছা মিয়া (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে গ্রামবাসী। পরে তাকে মারধর করা হলে চুরির ঘটনা স্বীকার করেন তিনি। এ সময় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় তাকে।

রোববার (১ জুন) উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ইছা মিয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

এদিকে এ ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৩১ মে) রাতে সাধেরখলা হাজি এমএ জাহের উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে রহিম মিয়ার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। পরের দিন রোববার সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে আনে গ্রামবাসী। এ সময় তাকে রহিমের দোকান ঘরের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলে তিনি চুরি করার বিষয়ে স্বীকার করেন। পরে তার কাছ থেকে চুরি হওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করে এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন জানান, ইছা মিয়া এর আগেও একাধিক বাড়ি ও মসজিদে চুরি করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। আটকের পর গ্রামবাসী তার পরিবার ও স্বজনদের খবর দিলে তারা আসেনি। একপর্যায়ে গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট গ্রামের ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ স্থানীয়রা কাগজে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে দক্ষিণ বড়দল ইউপি সদস্য রোপন মিয়া বলেন, ‘গ্রামের রহিম মিয়ার বাড়িতে চুরির ঘটনায় স্থানীয়রা ইছা মিয়াকে ধরে এনে বেঁধে রাখে। পরে সে স্বীকার করে এবং কিছু মালামাল বের করে দেয়। আমরা যাওয়ার পরে কাগজে তার মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেই।’

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় অবগত করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া চুরির বিষয়েও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। কাউকে চোর সন্দেহে ধরে এনে শাস্তি দেয়া বেআইনি।