শ্রীমঙ্গলে দগ্ধ বাবা-ছেলের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক অবস্থায় মা

সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বশির মিয়া ও ভোররাতে ছেলে রেদোয়ান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।

এম এ রকিব, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)

Location :

Maulvibazar
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি ‘শেভরন বাংলাদেশ’র কনডেনসেট পাইপলাইনে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ বাবা-ছেলে মারা গেছেন। দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে দগ্ধ মায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পরিবার।

শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বশির মিয়া (৫০) ও ভোর রাত ৩টার দিকে তার ছেলে রেদোয়ান (২৪) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।

নিহত দু’জন উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের জৈতাছড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

বাবা-ছেলের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসলাম উদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছিল কিন্তু বাঁচানো গেলো না। ছেলের মায়ের অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জেনেছি। আমরা মৃত্যুর খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারসহ স্বজনদের সমবেদনা জানিয়েছি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছি।’

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে শেভরনের তেল-গ্যাসের পাইপলাইনে দুর্বৃত্তদের ট্যাপিং থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে বাবা-মা ও ছেলে গুরুতর আহত হন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এক ঘণ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের প্রথমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছিল।

স্থানীয়রা জানায়, ওই দিন বিকেল থেকেই তেল-গ্যাসের পাইপলাইনে ছিদ্র হয়ে কনডেনসেট তেল ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ আগুন ধরে ভয়াবহ শিখা আকাশে উঠে যায়। এ সময় বাবা-মা ও ছেলে দগ্ধ হন। ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান।